রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : ছাত্রনেতা মনোয়ার হোসেন ইমন হত্যার ঘটনায় পুলিশ গত ৩ দিনে কাউকে আটক করতে পারেনি। শুধুমাত্র কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া এই হত্যার সন্দিগ্ধ কেউ আটক হয়নি।
ঘটনার ৩দিন পরও যশোর শহরের বেজপাড়া, শংকরপুরসহ আশেপাশের এলাকার মানুষ এই হত্যাকান্ড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন সরব। কারা হত্যা করতে পরে, কী কারণে হত্যা? কেউ আটক হয়েছি কি-না? এই সব প্রশ্ন ঘুরে ফিরেছে দিনভর।
এদিকে ইমন হত্যাকারী আটক এবং বিচারের দাবি করে মঙ্গলবারও মিছিল বের করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ইমনকে কেন খুন হতে হলো তার জবাব চাওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতে বাড়ির অদুরে বেজপাড়া গুড়গোল্লার মোড়ে সালাম ফার্নিচার নামক দোকানের সামনে সন্ত্রীদের গুলিতে নিহত হন ছাত্রলীগ যশোর জেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমন। ওই ঘটনার পর থেকে সারা শহরে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। যা মঙ্গলবার রাতঅব্দি চলে। অনেকে বলেছেন, ইমন শান্ত স্বভাবের ছেলে। সামাজিক কাজের সাথে তিনি যুক্ত। মাদক বিরোধী কাজে তিনি বেশ সক্রিয় ছিলেন। এমন কোন শত্রুতা বা কার্যকলাপের সাথে তিনি নিজেকে জড়াননি যে খুন হতে হবে। তবে ঘুরেফিরে উঠে আসে বেজপাড়া এলাকার চিহ্নিত কয়েক সন্ত্রাসী এবং মাদক কারবারীর নাম। কিছুদিন আগে পুলিশ ওই এলাকা থেকে কয়েক মাদক বিক্রেতাকে আটক করে। মাদক সিন্ডিকেটের ধারনা ওই আটকের পেছনে ইমনের হাত থাকতে পারে। যে কারণে খুন হতে হলো তাকে।
আবার অনেকের মত-অতিসম্প্রতি তিনি গ্রুপিংএর রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পক্ষত্যাগ করে নতুন স্থান বেছে নেয়ার কারণে তিনি খুন হতে পারেন। কিন্তু তারও কোন আলামত দৃশ্যত হয়নি। ইমন সম্প্রতি ব্যবসা করার জন্য উদ্যোগি হন। সে কারণে তিনি টাকা জোগাড় করার জন্য ব্যাতিব্যস্ত থাকতেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী গড়ে উঠার আগে তাকে খুন করা হতে পারে কি-না তা খতিয়ে দেয়ার দাবি উঠেছে।
তবে বেশিরভাগ মানুষের দাবি-এই হত্যাটি নিয়ে যেন কোন রাজনীতি না হয়। তাহলে একজন ভাল ছেলের খুনের বিচার পাবেনা তার স্বজন। সব আলোচনাই চলছে ধারনার ওপর। প্রকৃত ঘটনা তখনই জানাযাবে;পুলিশ যখন কোন আসামি আটক করতে পারবে।
তবে দুইদিন পার হলেও পুলিশ কাউকে আটক না করতে পারায় অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইমন হত্যাকারী আটক এবং দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
এই বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা মঙ্গলবার রাতে ইমন হত্যাকা ন্ডের ঘটনায় মামলা দিয়েছে তার পরিবার। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।