ঝিনাইদহ : গ্রাম্য শালিসকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ সদরের পাকা গ্রামে আহত ইমরান হোসেন (২৬) মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ইমরান হোসেন ঝিনাইদহ সদরের পাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। এ ঘটনায় চারটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের লুট হওয়া চারটি গরু আব্দুল মালেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানায়, পাকা গ্রামের ইন্তার ছেলে আমিন হোসেন গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের টিপুর ছেলে মুস্তাক হোসেনকে (১১) ফুঁসলিয়ে ফরিদপুরে নিয়ে যান। পরে ওইদিন রাতে পরিবারের লোকজন মুস্তাককে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনা নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকা গ্রামে শালিস বসে। সেসময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে মারামারিতে রূপ নেয়। এতে ইমরান হোসেন ও জীবন নামে দুই যুবক গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইমরানের অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ফরিদপুর ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে ইমরান মারা যান। মৃত্যুর খবর গ্রামে এলে প্রতিপক্ষ আব্দুল বাতেন, শফিউদ্দীন, আব্দুর রশিদ ও কামরুজ্জানের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। ওইসময় লুট করা গরু উদ্ধার করে তা মালিক আব্দুর রশিদের পরিবারের কাছে বুঝে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।