রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : যশোর-৩ সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুবলীগের শহর ও সদর শাখার নেতৃবৃন্দ। এ সময় সংগঠনের জেলা কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। বৃহস্পতিবার বিকালে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে ইমন হত্যা বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন যুবলীগ নেতারা।
এর আগে দুপুরে জেলা ছাত্রলীগ একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করে ইমনসহ দলীয় বেশ কয়েক নেতাকর্মী হত্যায় কাজী নাবিল আহমেদ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিতকুমার নাথকে অভিযুক্ত করে। বিকেলের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন যশোর শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিলু।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইমন হত্যাকা-কে কেন্দ্র করে রাজনীতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তাদের পরিচালিত পত্রিকায় ইমন হত্যার নেপথ্যে এমপি নাবিল আহমেদ ও মোহিত নাথ জড়িত বলে সংবাদ ছাপা হয়েছে। একটি হত্যাকান্ডের পর মাত্র এক থেকে দেড়ঘণ্টার মধ্যে ওই পত্রিকা এ ধরনের তথ্য কোথায় পায় সেটাই প্রশ্নের জন্ম দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই একটি পত্রিকা বাদে অন্যান্য গণমাধ্যমের তথ্য মতে ইমন একজন পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কোনো কর্মকা-ের অভিযোগ ছিল না। ইমন মাদকের ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই তিনি হত্যার শিকার হতে পারেন।
অবিলম্বে ইমন হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান নেতারা।
তারা বলেন, এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিতকুমার নাথ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষাণ্বিত হয়ে মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। যশোরের পুলিশ বিভাগ অনেক চৌকষ। তারা এর আগেও অনেক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। ইমন হত্যার রহস্যও তারা উদ্ধার ও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। লাশ নিয়ে রাজনীতি অনেকদিন ধরে চলছে। ইতিপূর্বে এমন অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু সেসব হত্যা মামলার পুলিশ প্রতিবেদনে তাদেরই নাম এসেছে যারা নিহতের খাটিয়া ধরে কান্নাকাটি করেছেন। আর তারা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী হিসেবেই পরিচিত। এমপি বা তার অনুসারীদের নাম নেই কোথাও।’
তিনি চেয়ারম্যান মোশারেফ হত্যা, দাদা রিপন হত্যা ও রিয়াদ হত্যার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘চার্জশিট দেখেন, হত্যাকারী কারা।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন টগর, সদর উপজেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক অশোক বোস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।