চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে আওয়ামী যুবলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে শওকত আলী (২৭) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপ। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে আহত শওকতের সহযোগীরা।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার ৭নং কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরাস্থ ডেলিপাড়া এলাকার এই ঘটনা ঘটে। কুপিয়ে আহত শওকতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে শওকতের ওপর হামলার জের ধরে যুবলীগের অপর গ্রুপ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যারিকেড দিলে দেড় ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অবরোধ তুলে ফেলে। অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে উভয় দিকে বিশাল যানজট লেগে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শওকত ও মামুন দুজন একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুজনের নামে ইয়াবা ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে থানায়। তারা দুজনেই যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শওকত কয়েকজনের সঙ্গে স্থানীয় ক্লাব কক্ষে বসে ছিলেন। এমন সময় মামুন হঠাৎ দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে ক্লাবে প্রবেশ করে শওকতকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ধারালো দায়ের কোপে শওকতের মাথায় মারাত্মক জখম হয়।
অন্যরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে শওকতের অনুসারীরা কুমিরায় মহাড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে দেড়ঘন্টার মত যানবাহন চলাচল বন্ধছিল।
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, হারুন মেম্বারের অফিসে বসে আড্ডা দিচ্ছিল শওকত সেখানে কে বা কারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এদিকে মহাসড়ক অবরোধের ফলে উভয়দিকে ১৫ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে গাড়িতে আটকা পড়ে শত শত যাত্রী অর্বনীয় বিড়ম্বনার শিকার হয়।