মনিরামপুর : মনিরামপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মৌমিতা সুলতানা রিতু নামের এক পিএসসি পরীক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রেণীকক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলার অভিযোগে ওই শিক্ষক তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে বলে জানাগেছে। এর ফলে ওই ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পেড়েছে। রিতু উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেনের মেয়ে। গতকাল শনিবার উপজেলার হুরগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। জানা যায়, শনিবার বিকেল চারটা পাঁচ মিনিটের সময় সহকারি শিক্ষক শারমিন সুলতানা পঞ্চম শ্রেণীতে( শ্রেণীকক্ষ) যান ইসলাম ধর্ম বিষয় পাঠদান করাতে। পড়া দেওয়ার সময় পিএসসি পরীক্ষার্থী মৌমিতা সুলতানা রিতু উচ্চস্বরে কথা বলে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানায়, এসময় শিক্ষিকা শারমিন সুলতানা শ্রেণীকক্ষেই রিতুকে বেধড়ক বেত্রাঘাত করে। এক পর্যায়ে রিতু ব্যাথার যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে শ্রেণীকক্ষ থেকে বেরিয়ে বাড়িতে চলে যায়। রিতুর মা ফরিদা বেগম জানান, ম্যাডাম এতোটাই মারপিট করেছে যে, তার মেয়ে বর্তমান অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। পিতা ব্যাংক কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেন মেয়ের আর্তনাদ সহ্য করতে না পেরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ১৯ নভেম্বর তার মেয়ের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। তার অভিযোগ ম্যাডামের মারপিটের কারনে তার মেয়ে বর্তমান শারিরীক এবং মানষিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। তিনি এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। অবশ্য এ কৃতকর্মের জন্য দু:খ প্রকাশ করে সহকারি শিক্ষক শারমিন সুলতানা জানান, তিনি বেত দিয়ে মাত্র দুইটা বাড়ি(আঘাত) মেরেছেন। প্রধান শিক্ষক রায়হান উদ্দিন জানান, আগামিকাল(আজ রোববার) স্কুলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে বসাবসি করা হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অশীষ কুমার নন্দী জানান, ওই শিক্ষক কেন এমনটি করল তা শোকজের মাধ্যমে জবাব চাওয়া হবে।