ইউনিক প্রতিবেদক :
খুলনার বড়বাজারের কদমতলায় ড্রেনের উপর নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। রেলের দাবি ড্রেন তাদের আর সিটি কর্পোরেশনের দাবি তাদের। এ নিয়ে বিরোধে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জমির লাইসেন্স হোল্ডার নিউ খাজা বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক ব্যবসায়ী সৈয়দ জুলজালাল। মতবিরোধের কারণে জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে দাবি করেছে জমির লাইসেন্সধারী সৈয়দ জুলজালাল। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি না জেনে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের স্টেট অফিসার মো. নুরুজ্জামান তালুকদার। গতকাল রোববার দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর সৈয়দ জুলজালাল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে ১৮০ বর্গ ফুট জমির বাণিজ্যিক লাইসেন্স নেন। লাইসেন্স নেওয়া জমিতে নিউ খাজা বাণিজ্য ভান্ডারের নামে আগামী ২০২২ ইং সাল পর্যন্ত রেলওয়ের লাইসেন্স ফি পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
নিউ খাজা বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক সৈয়দ জুলজালাল অভিযোগ করে বলেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে লাইসেন্স নিয়ে আমি ও আমার ভাই সৈয়দ শহিদুল ইসলাম ব্যবসা করে আসছি। কিছুদিন আগে কদমতলার মোহাম্মদিয়া ভান্ডারের আব্দুর রহমান, ভাসানী মার্কেটের শামীম সরদার, শেখ জিয়াউর রহমান, কাজী পিয়ারুল ও মানিক শিকদার আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে আমার দোকান উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে গত ৩০ জুলাই ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামিরুল হুদা জহর সহ উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ মিলে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে এবং আমাকে আবারও উচ্ছেদের হুমকি দেয়। তাদের হুমকির কারণে আমি গত ১১ জুলাই খুলনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে। এর মধ্যে গত রোববার দুপুরে সিটি কর্পোরেশন বুলডোজার নিয়ে এসে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি উচ্ছেদ করে। সিটি কর্পোরেশনের স্টেট অফিসারকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কাগজ দেখালেও তারা তাৎক্ষনিক উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যে মালামালসহ আমার পুরো দোকানটি ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি একেবারে পথে বসে গিয়েছি। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।’
সিটি কর্পোরেশনের স্টেট অফিসার মো. নুুরুজামান এ অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আমরা কোন লিখিত নোটিশ দেয়নি। তবে তাদেরকে মৌখিক ভাবে বলেছি। ঐ জায়গাটিতে আমাদের একটি ড্রেন আছে। আমরা ড্রেন উদ্ধারের জন্য এ উচ্ছেদ করেছি। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানার পর আমরা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে চলে আসি।
অভিযোগের বিষয়ে ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামিরুল হুদা জহর বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নয়। গত ৩০ জুলাই উচ্ছেদ বা ভাংচুর শ্রমিকরা করেছে আমি সেখানে ছিলাম না। আর সৈয়দ জুলজালাল রেলওয়ের যে জায়গার লাইসেন্স নিয়েছে এটি সে জায়গা না। সেজন্য সিটি কর্পোরেশন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছে।’