মন্দিরে পবিত্র ‘কোরআন’ রেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অস্থিরতা সৃষ্টির অশুভ মতলবে মহলবিশেষের সাম্প্রতিক অপতৎপরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ‘এস জেডএইচ এম ট্রাস্ট’-এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী।
রোববার সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনা যুগপৎ কোরআন ও ইসলামের অবমাননা ও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকদের কপালে কলঙ্কতিলক এঁকে দেয়ার সামিল। পুরো বিষয়টা ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় আদর্শ, সামাজিক নীতি ও নৈতিক আচরণের পরিপন্থি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রে মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মাচার পালনসহ মৌলিক মানবাধিকারগুলো মদীনা সনদে বিধিবদ্ধ এবং এতে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটানোর অবকাশ নেই। মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফসহ মহান অলি-আউলিয়াগণ এ পবিত্র ঐতিহ্যের ধারক এবং বাংলাদেশের সামাজিক নীতিও তাই।
হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি, দুঃখ-যাতনা নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ তৈরির সুপারিশ করেন।
তিনি এসব স্পর্শকাতর কর্মকাণ্ডের পেছনে কোনো অন্তর্ঘাত সক্রিয় রয়েছে কিনা তা কঠোরভাবে নজরদারি ও প্রতিকারের পদক্ষেপ নেবারও আবেদন জানান।
বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশের সকল ধর্মাবলম্বীর সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করেন এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক শান্তি, স্থিতিশীলতার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ফরিয়াদ জানান।