হাসান আল মামুন :
হারিয়ে যাওয়ার পথে কাসা ও পিতল। অ্যালুমিনিয়াম আর ম্যালামাইন পণ্যের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে কাসা ও পিতল এর ব্যাবহার। কর্মকারের নিপুণ হাতে তৈরি কাসা ও পিতলের থালা, বাটি, কলসি, কাজলদানি, পুতুল ও মেডেলসহ নানান সামগ্রীর চাহিদাও ছিল ব্যাপক হারে। তবে সে সময় আর নেই। কাসা-পিতলের জায়গা দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ম্যালামাইন ও প্লাস্টিক পণ্য।
দাম তুলনামূলক কম ও হরেক বাহারের রঙের হওয়ায় এসব কারনে বিলুপ্ত হতে চলেছে কাসা-পিতলের পণ্য। ফলে এ ব্যবসার সাথে জড়িতরা বাধ্য হয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। দেশীয় কৃষ্টি ও প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষায় নড়াইলে কাসা ও পিতল ব্যবহারকে জরুরি বলে মনে করেন অনেক প্রবীন ব্যক্তিরা।
জেলায় কয়েক বছর আগেও প্রায় মনোহারির দোকান গুলোতে কাসা ও পিতলের জিনিস কিনতে পাওয়া যেত। বিয়ের অনুষ্ঠান, অন্ন প্রাসন, পুরস্কার বিতরণী সহ সকল ক্ষেত্রে কাসা পিতলের ব্যবহার চোখে পড়ার মত ছিলো।
এখনো এমন অনেক পরিবার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য কাসা পিতলের থালা গ্লাস ব্যবহার করে চলেছে। অতি মুল্যবান ধাতু হওয়ার সুবাদে দাম বেশি হলেও স্বাস্থ্য সম্মত। সকল ক্ষেত্রে গ্রহণ যোগ্যতা টাকার মূল্যের সমান ছিলো। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান বলতে তো কাসা পিতল ছাড়া কল্পনা করা যেত না। গ্রাম ও শহরের স্বনামধন্য পরিবারের মধ্যে এখনো কাসা পিতলের প্রচলন লক্ষ করা যায়। কিন্তু হৃদয় বিদারক হলেও সত্য যে, যুগে যুগে যেমন বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রার মান তেমনি সাথে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় কৃষ্টি ও প্রাচীন ঐতিহ্য কাসা-পিতলের পণ্য।