ইউনিক প্রতিবেদক :
খুলনা নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় দীর্ঘদিন দখলীয় নিষ্কন্টক সম্পত্তি কেডিএ’র অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে চিহ্নিত ভূমিদস্যু কর্তৃক জবরদখলের পায়তারার ও সপরিবারে জীবননাশের হুমকির অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী জমির মালিক শেখ তফসীর আহম্মেদ মিলন। শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কেডিএ’র নিকট থেকে ১৯৯৪ সালে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় ৪.৯৫ শতক (তিন কাঠা) এর একটি বাণিজ্যিক প্লট ক্রয় করেন। যার বানিয়াখামার মৌজার এসএ খতিয়ান নং ১০৬৮৫, দাগ নম্বর ২৮০২০ ও প্লট নং সি-১২। যার বর্তমান বিআরএস খতিয়ান নং ৪৪ তার নিজের নামে রেকর্ডীয়। সম্প্রতি স্থানীয় একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু বেনজির আহমেদ বাচ্চু কেডিএ’র অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে ঐ সম্পত্তি জবর-দখলের পায়তারা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালত-৫ খুলনায় ৯৮৪(১)/২০০৫/২০০৬নং মিস কেসের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৭ জুন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে ২নং বিবাদী করে দেওয়ানী ১০০০/০৮ নং মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলা আদালতের ১৪নং আদেশে গত ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট নামপত্তন কেসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন, যা এখনো বলবৎ আছে। ঐ আদেশ অমান্য করে সম্পত্তি নামপত্তন করার জন্যে বেনজির আহমেদ বাচ্চু মামলার বিষয়টি গোপন করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে ২০২৫/১৭-১৮ নং নামপত্তন কেস করেন; যাহা আপত্তি দাখিলের পর স্থগিত রয়েছে।
শুধু তাই নয়, নতুন করে তফসিল বর্নিত সম্পত্তি নামপত্তন করার জন্যে ১৬৪৩নং মিস কেস (পিটিশন নং-২২৮১৯৮) করে। পুনরায় ঐ ব্যাক্তি ৪৪৮(১)/২০২১-২০২২ নং নামপত্তন কেস করলে তিনি আপত্তি দাখিল করেন।
এ বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন-৩০১/২০০৬নং মামলা চলছে। এ সম্পত্তি সংক্রান্তে দেওয়ানী ও সিভিল রিভিশন মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি নামপত্তন করতে না পারে সে জন্য আবারো সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেন।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী শেখ তফসীর আহম্মেদ মিলন খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( কেডিএ) এর চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কেডিএ’র অসাধু কর্মকর্তাদের সহায়তায় ভূমিদস্যু চক্রটি আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে। নানা ভাবে তার ও তার পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ সকলের সহায়তা কামনা করেছেন।