ঢাকা অফিস :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে করোনার টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে টিকা বিশেষ ক্যাম্পেইন চালানো হবে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (১৬ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, এই ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেবে। তিন ডোজ মিলে সর্বমোট ৩ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে এই সময়ে দেওয়া হবে কোভিড-১৯ টিকা।
জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৪ মাস পরই বুস্টার তথা তৃতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। সরকারে হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা মজুত আছে বলেও তিনি জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম আমরা সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। করোনাকালে যখন আমাদের সব সেবা বন্ধ ছিল, তখনও আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোতে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। করোনা রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগীদেরও আমরা সেবা দিয়েছি। বর্তমানে করোনার সংক্রমণ কমে গেছে, এখনো আমরা একসঙ্গে দুটি সেবাই দিয়ে যাচ্ছি।
শিশুদের টিকার বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এ ব্যাপারে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তারা অনুমোদন দিলেই সারাদেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের কাছে ৮ কোটি ডোজের ওপরে টিকা আছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন- সব মিলিয়ে ইতোমধ্যে প্রায় ২২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি আমরা। আরও ৩ কোটি ডোজ দিতে পারলে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ এবং সরকারের টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আসবেন।