শাহাব উদ্দীন ওয়াসিম, ইবি প্রতিনিধি- দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাত ১১টায় বাংলাদেশে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ১ বছরের জন্য কমিটিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন- তন্ময় সাহা টনি, আল মামুন, ফাহিমুর রহমান সেতু, মোদাসসির খালেক ধ্রুব, মুন্সি কামরুল হাসান অনিক, আরিফুল ইসলাম খান, সুজন কুমার দে, রকিবুল ইসলাম, নাইমুর রহমান জয়, বনি আমিন, মৃদুল হাসান রাব্বি, মামুনুর রশিদ, সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও এহসানুল হক ঈশান। য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন- মুজাহিদুল ইসলাম, সরোয়ার জাহান শিশির, মাসুদ রানা লিংকন ও হোসাইন মজুমদার। এছাড়াও কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন- জাকির হোসেন, মাইনুল ইসলাম সিদ্দিকী, সোহাগ শেখ ও হামিদুর রহমান।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্র থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন। এতে ৫৭ জন পদপ্রত্যাশী তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।
কমিটি ঘোষণার পরেই ক্যাম্পাসে কর্মীদের মাঝে বাধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। এসময় আবাসিক হল থেকে মিছিল বের করেন সদ্য মনোনীত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা রাত ১২ টা ১ মিনিটে তারা মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে মোববাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
নতুন কমিটি সম্পর্কে বিজন কৃষ্ণ রায় বলেন, “দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হওয়ায় ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তির সুবাতাস বইছে। ক্যাম্পাসের নানাবিধ সমস্যার সমাধার, মাদকের বিস্তৃতি রোধ এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা রাখি।”
এদিকে সিনিয়র জুনিয়র না মেনে কমিটিতে পদ দেওয়ায় অনেক কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, “ অনেকদিন পর ইবি শাখা ছাত্রলীগ যোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছে। তবে অন্যান্য যে পদগুলো দেওয়া হয়েছে সেখানে সিনিয়র জুনিয়র মেইনটেন করা হয়নি। ২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত সহ-সভাপতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৩-১৪, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে রাখা হয়েছে যুগ্ম-সম্পাদক ও সাংগঠনিকের শেষ দিকে যা ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।”
নতুন কমিটি সম্পর্কে সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, “দীর্ঘদিন কর্মীবান্ধব রাজনীতি করার পর আমাকে কেন্দ্র থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এজন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একইসাথে আগামীদিনে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।”