খুলনা অফিস // স্বর্ণপদক জয়ী সাবেক জাতীয় এ্যাথলেটার ও গাড়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এম এম কামরুজ্জামান হত্যা মামলার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এজাহারভ‚ক্ত আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে মামলার বাদি নিহতের বড় ভাই মোঃ আনারুল ইসলাম মোল্যা কালু ঘটনার প্রতিবাদ ও আসামিদের আটকের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছেন।
ফুলতলা থানায় দায়েরকৃত মামলায় (নং-২০/১৫১, তারিখ-২৭/০৯/২২ইং) ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতসহ আরও কয়েক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়। এজহার নামীয় আসামিরা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বিপিজিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোর্শারফ হোসেন মোড়ল (৫৭), মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সুমন মোড়ল (৪৫), গাড়াখোলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও ঘের ব্যবসায়ী ফিরোজ মোড়ল (৪৫) ও তার ভাই একই মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ মোড়ল (৪৮), হাফিজুর রহমান বিশ^াস (৩৫), গাড়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সানোয়ার হোসেন মোড়ল (৫২) ও আবাসিক হোটেল মালিক ও ঘের ব্যবসায়ী মুকুল মোড়ল (৪২)। এজহারভুক্ত সব আসামির বাড়ি গাড়াখোলা গ্রামে এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পীতভাবে কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয় বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়। হত্যা মামলার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় মামলার বাদি ও নিহতের পরিবার হত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন। ঘটনার প্রতিবাদ ও আসামীদের আটকের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন, বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি পেশ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বাদি মোঃ আনারুল ইসলাম মোল্যা কালু জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইলিয়াস তালুকদার বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে। দ্রæতই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এজহারে মোঃ আনারুল ইসলাম মোল্যা কালু আরও উল্লেখ করেন, তার ছোট ভাইকে গত ৩১ আগস্ট রাত তিনটায় গাড়াখোলার পোড়া বটতলা এলাকা থেকে এম এম কামরুজ্জামানকে অস্ত্রের মুখে আসামীরা জিম্মী করে ভিকটিমের নবনির্মিত ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামীরা তার মুখ বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।