বিজ্ঞপ্তি : তৃণমূলের মানুষও উদ্যোক্তা হতে পারে। তারা উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় জড়িত হয়ে বাজারজাতের কৌশলও রপ্ত করতে পারে। উদ্যোক্তা হয়ে তৃনমূলের মানুষও একটি ব্যবসাকে দুটি ব্যবসায় রূপান্তরিত করতে পারে। আপতকালীন সঞ্চয় দিয়ে ব্যবসার ঝুঁকিও কমাতে পারে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পজাত ব্যবসার প্রথাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রত্যয়ী তৃনমূলের নারীদের সাহস এবং সাফল্যের এক গুচ্ছ গল্প গতকাল খুলনা প্রেসক্লাবে উপস্থিত সূধীজনদের বিস্মিত করেছে। নারী হয়েও চরম বিপদে তাদের এগিয়ে যাওয়ার দুর্নিবার ইচ্ছা সকলকে বিমোহিত করেছে।
খুলনা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উদ্যোক্তারা তাদের সাফল্যগাথা বর্ণনা করার জন্য মিলিত হয়েছিল। মহানগরীর ৭৪২জন উদ্যোক্তার প্রতিনিধিগণ এখানে উপস্থিত ছিলেন। সাবলম্বি হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের উদাহরণ সৃষ্টিকারীদের নারী উদ্যোক্তাদের এ মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্তাব্যক্তিসহ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।
সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় রূপান্তর পরিচালিত ‘করোনা অতিমারীতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি পুনর্বাসন উদ্যোগ’ (ঝঈজঊঅগ) প্রকল্পের আওতায় খুলনা প্রেস ক্লাব ভিআইপি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপান্তরের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় জেলা অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসনা হেনা, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডেপুটি ম্যানেজার কৃষ্ণপদ মল্লিক, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: স্বপন কুমার হালদার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আলমগীর কবির, খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো: মফিদুল ইসলাম টুটুল প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন রূপান্তরের কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাস। সভার মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন প্রকল্পের মনিটরিং সমন্বয়কারী সৈয়দা শবনম সুবহা। উপকারভোগীদের মধ্যে বক্তৃতা করেন হালিমা বেগম, লক্ষি বাঁশফোড় , প্রান্ত দাস, সুমি বেগম, প্রশান্ত দাস, শরিফা বেগম, তানিয়া আক্তার, তাসলিমা বেগম প্রমুখ।