কুষ্টিয়া : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ সম্মান প্রথম বর্ষের ভর্তির আবেদনপত্রে হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর নিতে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে বখশিসের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হলের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জেনে প্রতিবাদ করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে অফিসে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম শাহ মো. মিজানুর রহমান। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সহকারী রেজিস্ট্রার। জানা যায়, রোববার (২৯ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সম্মান প্রথম বর্ষে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হয়। ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হলের টাকা দেওয়ার রশিদ জমা দিয়ে নিতে হয় হল প্রভোস্টের স্বাক্ষর। সে সূত্রে শহীদ জিয়াউর রহমান হলে রশিদ জমা দিয়ে প্রভোস্টের স্বাক্ষরের জন্য গেলে বখশিস হিসেবে অতিরিক্ত ১শ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন নিয়মিত শিক্ষার্থী বিষয়টি জানতে পেরে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। প্রথম দিকে অস্বীকার করলেও পরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চান তিনি। পরে শিক্ষার্থীরা অফিসে তালা দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি তাকে উদ্ধার করে। শাহ্ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম, পরে ফেরত দিয়ে দিয়েছি। আমাদের এখানে একজন কর্মচারী কাজ করেন। তার নাম শোভন। তিনি কোনো বেতন পান না। তার জন্যই আমরা এই টাকাটা নিচ্ছি। কর্মচারী শোভন বলেন, না এভাবে টাকা নেওয়াতো হয়ই না। নেওয়ার কোনো নিয়মও নেই। হয়তো ২০ জন ভর্তি হলে দুই একজন থেকে নেওয়া হয়। এর থেকে আমাকে কিছু দেন, উনিও কিছু নেন। অনেক সময় ভাড়া না থাকলে, ভাই ২০টা টাকা দেনতো, যাবো আসবো, স্বাক্ষর নেবো বলে ১০/২০ টাকা নেই। এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, এ ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। রশিদবিহীন টাকা নেওয়া অন্যায়। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। প্রথম দিকে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। পরে আমি টাকা নিতে নিষেধ করেছি।