খুলনা : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর হতে চুরি হওয়া নবজাতক গত ১০ দিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় মানব পাচার আইনে দায়ের হওয়া মামলায় পাঁচ জন আসামি গ্রেফতার হলেও পুলিশ বলছে, এখনও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো সূত্র তারা খুঁজে পাননি। তবে, চেষ্টার কমতি নেই।
ফকিরহাট উপজেলার পিলজং এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর তোরাব আলীর অন্তসত্তা স্ত্রী রানী বেগম (৩৫) গত ২৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন। দুপুর পৌনে একটার দিকে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নবজাতক এবং প্রসুতি মাকে নিয়ে স্বজনেরা বাড়ী ফেরার জন্য একটি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যে এ্যাম্বুলেন্সটি তারা ভাড়া করেন, চালক সেটি না এনে একটি নিম্নমানের এ্যাম্বুলেন্সে তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে চালক উজ্জলের সাথে নবজাতকের পিতার বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ওই এ্যম্বুলেন্স চালকের সাথে আরও কয়েকজন বিবাদে যোগ দেন। ওই পরিবারের সদস্য এবং স্বজনদের সাথে তারা মৃদু সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শিশুটি তখন তার খালা সোনিয়ার কোলে ছিল। ওই পরিস্থিতির মধ্যে কালো রঙের বোরখা পরিহিত অজ্ঞাত এক নারী তাকে বলেন-গ্যানজাম ঠ্যাকান না কেন? শিশুটিকে আমার কাছে দেন। এরপরই সে নবজাতককে কোলে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক সুকান্ত দাশ দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, ভিকটিম পরিবারের পক্ষ হতে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানী ঢাকা হতে উজ্জল এবং খুমেক এলাকা থেকে প্রবীর, ইমন, আশিক ও বাবু নামে পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদেরকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের এক দিনের জন্য জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ক্লু এখনও মেলেনি। তবে, শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।