আহমেদ ফরিদ, রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একটি আবাসিক হলের সামনে থেকে এক ছাত্রীকে ‘অপহরণ’র ঘটনায় খোঁজ দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন হলের ছাত্রীরা। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে অপহৃত ছাত্রীর খোঁজ দাবিতে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এদিকে এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ^বিদ্যলয়ের মধ্যে থেকে একজন ছাত্রীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর দায় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনকেই নিতে হবে। কারণ এই সংরক্ষিত জায়গার মধ্যে থেকে এক ছাত্রী অপহৃত হওয়ার মানে এখানে আমরা কেউই নিরাপদ নই। বিশ^বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যদিও বলছে এটি পারিবারিক ব্যাপার, কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে তাকে কেন টেনে হেচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো? অপহৃত ছাত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টার মধ্যে আমাদের তার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে হবে। সে যদি বলে, ভালো আছে নিরাপদে আছে, তবে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করবো।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপাচার্য বলেন, ওই ছাত্রীর স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। তার স্বামী ও স্বামীর বাবা আইনজীবী। তারা আইনের বিষয়টি জানে। ডির্ভোস কার্যকর হতে সময় লাগে। অনেক সময় দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকে, মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের মধ্যে মিমাংশা করে। এমন কিছু হতে পারে। এটা কোন অপহরণের মতো ঘটনা না। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিবে।
এর আগে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে শাহী আম্মানা শোভাকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হলের গেট থেকে ৫০ গজ এগোতেই তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়। তার ‘স্বামী’ কর্তৃক জোর করে তুলে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর। গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের বিয়ে হলেও দুই মাস আগে ডিভোর্স হয়ে যায়।