চুয়াডাঙ্গা সরকারি গুদামে গমের বদলে বালু-পাথর

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-০৭ - ১১:৩০

ইউনিক ডেস্ক : খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি খাদ্যগুদামে আসা গমভর্তি ট্রাকে ২৮ বস্তা বালু ও এক বস্তা পাথর পাওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা সরকারি খাদ্য গুদামে আসা গমভর্তি ট্রাকে ২৮ বস্তা বালু ও এক বস্তা পাথর পাওয়া গেছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি খাদ্যগুদামে আসা গমভর্তি  ট্রাকে ২৮ বস্তা বালু ও এক বস্তা পাথর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে ট্রাক থেকে গম নামানোর সময় বালু ও পাথরের বস্তাগুলো পান গুদামের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গুদাম কর্তৃপক্ষ।

খাদ্যগুদামের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার  ভোরে খুলনা  ওথকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সরকারি খাদ্যগুদামে আসে গমভর্তি ছয়টি ট্রাক। দুপুরে সেসব ট্রাক থেকে গম নামানো শুরু হয়। একপর্যায়ে এক ট্রাকে ছয় বস্তা বালু পাওয়া যায়। পরে বাকি ট্রাকগুলোতে আরও ২২ বস্তা বালু এবং এক বস্তা পাথর পাওয়া গেছে।

বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহিদুল হক বলেন, ‘খুলনা থেকে সরকারিভাবে চুয়াডাঙ্গার জন্য ৩০০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে প্রথম চালান এসেছিল। রবিবার ভোরে দ্বিতীয় চালানে খুলনার ৪ নম্বর ঘাট থেকে ছয় ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন গম জেলা খাদ্যগুদামে আসে। দুপুরে গমের পরিমাণ ওজন করে ট্রাক থেকে নামানো শুরু হয়। এ সময় ২৮ বস্তা বালু ও এক বস্তা পাথর পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘জোনাকি পরিবহনের দুটি ট্রাকে ১৩ বস্তা বালু, সরকার এন্টারপ্রাইজের দুটি ট্রাকে ৯ বস্তা বালু ও সানরাইজ জুট ট্রেডার্সের দুটি ট্রাকে ছয় বস্তা বালু ও একটি বস্তায় পাথরের বড় বড় ছয়টি টুকরা পাওয়া যায়।’

একেএম শহিদুল হক আরও বলেন, ‘ওজন দিয়ে এসব গম গুদামে তোলা হবে। গমের ওজন কতটুকু কমেছে, তখন বোঝা যাবে। ট্রাকচালকরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আমরা ধারণা করছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

জেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ধারণা, গুদামে আসার পথে ট্রাক থেকে গম নামিয়ে ওজন ঠিক রাখতে বালু আর পাথর দিয়ে তা সমন্বয়ের চেষ্টা করেছেন চালকরা।’

তবে জোনাকি পরিবহনের ট্রাকচালক নান্নু ও আসাদ জানিয়েছেন, তারা বালু এবং পাথর এনেছেন ঠিকই, তবে গম ওজনে কম দেওয়ার জন্য নয়। মাঝেমধ্যে গাড়ি অকেজো হলে বালুর বস্তার প্রয়োজন হয়। সেইসঙ্গে বেশিরভাগ সময় বালু ও পাথরের ভাড়া বহন করায় তাদের গাড়িতে বালু ও পাথরের বস্তা থাকে। অনেক সময় ওজনের কাজেও লাগে।

তাদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’