বটিয়াঘাটা : ১৯৭১ সালের ১৯ মে পাকহানাদার কর্তৃক ধর্ষণের শিকার সেবাদাসী বিশ^াস এখন মৃত্যুপথ যাত্রী। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ নুরুল আলম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এমদাদুল হক তাকে গতকাল দেখতে যান। এসময় সরকারী ত্রান সহয়তা হিসেবে চাল, ডাল, তেল সহ দুই বস্তা খাদ্য সামগ্রী ও কম্বল প্রদান করেন। সেবাদাসীর দাবী মৃত্যুর আগে তিনি যেন বিরাঙ্গনা খেতাব লাভ করতে পারেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় দেবীতলা গ্রামের চরার খালের ভিতর একটি নৌকায় বৃদ্ধ মাদার চন্দ্র ঢালী অন্যান্যদের উঠিয়ে পালাবার চেষ্টা কালে পাকবাহিনী তার মাথায় গুলি করলে নিহত হয়। তখন ষড়সী সুন্দরী গৃহবধু সেবাদাসী বিশ্বাসকে এক খান সেনা ধরে পাশের ভিটার মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ দৃশ্য দেখে বাগানের মধ্যে পালিয়ে থাকা বিমল মন্ডল দৌড়ে পালায়। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে একই গ্রামের যুবক নগেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, তখন তার বয়স ২০/২২ বছর। বিলের ভিতর এক বাগানের আড়ালে লুকিয়ে খান সেনাদের তান্ডবের সকল দৃশ্য তিনি দেখেন। সেদিনের গুলিতে ফুলতলা গ্রামের নীল কমল মন্ডল, বসুরাবাদ গ্রামের ধীরেন্দ্র নাথ তরফদার, বয়ারভাঙ্গা গ্রামের বলরাম মন্ডল, দেবীতলা গ্রামের নিত্যানন্দ মন্ডল, মাদার চন্দ্র ঢালী, উপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, কুঞ্জলাল মন্ডল, নির্মল মন্ডল, পার্বতী চরন মন্ডল, মনোহর মন্ডল, হৃদয়নাথ মন্ডলসহ আরও অজ্ঞাত নামা দু’জন নিহত হয়।
আহত হয় দেবীতলা গ্রামের প্রেমলতা মন্ডল স্বামী মৃত কালিপদ মন্ডল, টুকু রাণী রায় স্বামী কার্তিক রায় ও কার্তিক রায়ের কন্যা তৃপ্তি রাণী রায়। অন্ত:সত্তা টুকু রাণী ভয়ে এ ঘটনার মাত্র ১০ দিন পর বাচ্চা প্রসব করেন।