মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননীকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মো: বাবু আকনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। মঠবাড়িয়া থানার পুলিশের একটি দল রোববার বিকেলে পাশ^বর্তী বরগুনার তালতলী উপজেলার নিন্দ্রা ছকিনা সওদাগার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে বাবুকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত বাবু মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের দেলোয়ার আকনের পুত্র। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রেফতার বাবু আকনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে সোমবার সকালে মঠবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কামরুল আজাদ এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীর ওই স্ত্রী গত বছরের ১৮ অক্টোবর বিকেলে শহরের কে এম লতিফ সুপার মার্কেটের গ্রাফিক্স পয়েন্ট থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শেষে নিজের সন্তান ও বোনের মেয়েকে নিয়ে একটি অটোরিক্সায় বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে অটো চালক ওই প্রবাসীর গন্তব্য স্থানে গাড়ি না নামিয়ে কতিপয় যুবকদের যোগসাজসে মঠবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন জনৈক মামুনের বাড়ির সামনে গাড়ি থামায়। পরে সেখান থেকে যুবকরা প্রবাসীর স্ত্রীর মুখ চেপে মামুনের বাসার বারান্দায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় তিনি ডাকচিৎকার দিলে বখাটেরা উচ্চ আওয়াজে সাউন্ড বক্সে গান বাজায় এবং ধর্ষণের চিত্র ভিডিও করে। পরে বখাটেরা চলে গেলে প্রাসীর স্ত্রী ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
এব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে ৭জনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই মামলার প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করা হয় এবং পলাতক আসামি বাবুকে মঙ্গলবার বরগুনার তালতলী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।