খুলনা : সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম কাজল জানান, খুলনা মহানগরীর ১১নং ওয়ার্ডেই আমার জন্ম, এখানেই আমার শৈশব-কৈশোর ও বেড়ে ওঠা। সে কারনেই, এলাকার প্রবীণ ও নবীনরা আমাকে খুব ভালো ভাবেই চেনেন এবং আমিও সকলের কাছে একটি পরিচিত মুখ। এলাকার ছোট-বড় সকলের সাথেই আমার একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। মুরুব্বিরা আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করে এবং আমিও সকলকে সম্মান ও ভালোবেসে থাকি। আমি এলাকার যুব সমাজকে খারাপ কাজ থেকে প্রতিনিয়তই দূরে রাখতে বিভিন্ন খেলাধুলা সামগ্রী দিয়ে থাকি। পাশাপাশি এদেরকে ক্রীড়ামূখী করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যার ফলে যুব সমাজ এখন পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ভালো ভালো কাজকর্মে সময় দিয়ে থাকে। আনোয়ারুল ইসলাম কাজল খুলনার চিত্রকে জানান তিনি বিভিন্ন সময় দূর্যোগ-মহামারী, ধর্মীয় কার্যক্রমসহ নানান উৎসবে সাধ্যমতোন এলাকাবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন ইনশাল্লাহ সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পাশে থাকার চেষ্টা করবো। আমি মনে করি, এলাকাবাসীর প্রতি আমার সামাজিক একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে যার ফলে আমি প্রতিনিয়তই ছোট-বড় সহ এলাকার সকল বয়সী মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। আমি দীর্ঘদিন সততার সহিত খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এখনও পেশাগত যায়গা থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছি। মহামারী করোনাকালীন সময় আপন মানুষদেরও যখন পাশে পাওয়া যেত না তখন আমি জীবনের ঝুকি নিয়ে হলেও সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি সাধ্যমতোন খাদ্য সামগ্রীসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার। আগে এই এলাকার কোনো মানুষ মারা গেলে তাকে গোসল দিতে অনেক দূরে নিয়ে জাওয়া লাগতো, তাদের এই কষ্টের কথা চিন্তা করে আমি এলাকার সকলের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে স্থানীয় মসজিদে তৈয়েবা সংলগ্ন মুর্দা গোসল খানাটি সংস্কার করেছি। আধুনিক পরিবেশে মানসম্মতভাবে মুর্দা গোসলের উপযোগী করে গড়ে তুলেছি। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে দাফন কাফনেরও সার্বিক ব্যবস্থা করে থাকি। এ ধরনের সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজ করায় এই এলাকার যুব সমাজসহ মুরুব্বিদের কাছে আমি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় এলাকার মুরুব্বিসহ সকল শ্রেনীর জনগন আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে তাদের পাশে পেতে চায়। আমিও মনে প্রানে জীবনের বাকিটা সময় ওয়ার্ডবাসীর খেদমতের মাধ্যমে তাদের খাদেম হিসেবে থাকতে চাই। যদি মহান আল্লাহ পাক আমাকে এই সু্যােগ দান করেন, আমি জীবনের বিনিময় হলেও পবিত্রতার সহীহ এই মহান পেশাটির মর্যাদা রাখবো। পাশাপাশি আমাকে যদি ওয়ার্ডবাসী একটাবার সুযোগ দেন তাহলে সবাইকে সাথে নিয়ে অবহেলিত এই ১১নং ওয়ার্ডটিকে কেসিসির আধুনিক ও মডেল ওয়ার্ড হিসেবে আমি গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।