রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : বড় ভাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারী ইউনিটে মৃত্যুর সাথে সাথে ছোট ভাই’রা বাড়িসহ সকল সম্পদ দখল করে নিয়েছে। এসময় নিহতের একমাত্র শিশু ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে ঘরে তালা লাগিয়েছে। বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য বড় ভাইকে বিষপানে হত্যা করা হয়েছে বলে ছোট ভাই অভিযোগ তুলে স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে। নিহত হাফিজুর রহমান (৫২) চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সুটিয়া গ্রামের মৃত. বজলুর রহমানের ছেলে। হাসপাতালে নিহতের স্ত্রী রোজিনা খাতুন এ অভিযোগ করেছেন।
রোজিনা খাতুন জানান, তার স্বামী রোববার সন্ধ্যায় একমাত্র ছেলে আশিকুর রহমানকে (৮) কোমল পানিয় আনতে পাঠান। সে ওই পানিয় নিয়ে আসলে তার স্বামী হাফিজুর রহমান পান করেন। কিছু সময় পর সে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার ভোরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের ডাক্তার করোনারী ইউনিটে প্রেরণ করেন। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে করোনারী ইউনিটের ডাক্তার সুচিতা ইসলাম তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, হাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। বিভিন্ন ডাক্তার, কবিরাজ স্বরণাপন্ন হলেও তিনি কখনও সুস্থ হননি। শেষ পর্যন্ত কবিরাজের পরামর্শমতে তিনি অর্জুনবৃক্ষের ছাল, বিভিন্ন কবিরাজি ওষুধ পান করতেন। বিষয়টি এলাকার সবাই কমবেশি জানেন।
রোজিনা খাতুন স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌছানোর সাথে সাথে তার সকল সম্পত্তি তারই দেবর মকসুদ, মাসুদ ও মাসুদের ছেলে সংগ্রাম দখল করে নিয়েছে বলে দাবি করে বলেন, আমাদের একমাত্র ছেলে আশিকুর রহমানকে ঘর থেকে বের করে ঘরে তালা দিয়েছে। আমাদের ৮/৯ বিঘা সম্পত্তি দখল করেছে। শুধু তাই নয়, ‘আমার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করলেও তাই ভাই বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারী ইউনিয়টের কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ডাক্তার মোশফে-উর- রহমান জানান, হাফিজুর রহমান নামের এক রোগী হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। ইসিজিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গেছে, হার্ট ব্লকের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে, নিহতের স্বজনরা পয়জেনিং দাবি করায় হাফিজুরের মরদেহ ময়নাতদন্তের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশের কনেস্টবল রুহুল আমিন গাজী কোতয়ালি থানার এসআই কাইয়ুমের উদ্বৃডু দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানা যাবে। এব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে।