ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ মেট্রিকটন
খুলনা : তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তারা দেখছেন নোনালী স্বপ্ন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেতে কাজ করছেন। তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। খুলনা কৃষি অঞ্চলের ৪ জেলায় ১৪ হাজার ২৩১ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫লাখ ৯৩হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন। সকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে। তাদের পরামর্শে কৃষকরা ঝুকছেন তরমুজ চাষে। গত বছর এই পরিমান জমিতে আবাদ করা ও উৎপাদন হয়েছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ আবাদ করা হয়েছে। দাকোপ ও বটিয়াঘাটাকে তরমুজ জোন ঘোষনার দাবি জানানো হয়েছে।
সূত্র জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে খুলনা অঞ্চলে আবাদ করা হচ্ছে ১৪ হাজার ২৩১ হেক্টর জমি এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫লাখ ৯৩ হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন। এর মধ্যে খুলনা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৭০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮৪২২৫ মেট্রিকটন। বাগেরহাট জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩৪২ মেট্রিকটন। সাতক্ষীরা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২০০ মেট্রিকটন এবং নড়াইল জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩০ মেট্রিকটন। এখনো আবাদ চলছে। কেই কেই আগে থেকেই আবাদ করেছন। তারা আসন্ন পবিত্র মাহে রনমজানে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। বেশী দামে বিক্রি করতে পারলে লাভের মুখ দেখবেন। হাইব্রিড হানি কুইন, পাকিজা, বিগ পাকিজা, ড্রাগন, সুইট ড্রাগন গ্লোরী, ওয়ার্ল্ড কুইন ও গঙ্গা জাত আবাদ করা হচ্ছে।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’র জিকেবিএসপি প্রকল্প কৃষকদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে। তাদের পরামর্শে কৃষকরা ঝুকছেন তরমুজ চাষে। এই প্রকল্প থেকে বীজ সার কীটনাশক ও সকল প্রকার সরঞ্জমাদি বিনামূল্যে পাচ্ছেন কৃষক। গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প জিকেএসপি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি জেলার কৃষি উন্নয়নের জন্য নানা মুখি গবেষণা পরিচালনা করে আসছে। এই মৌসুমে ২২জন কৃষক একটি করে ২২বিঘা জমিতে তরমুজের প্রদর্শণী প্লট করেছে। ট্রে ও পলিব্যাগে চারা তৈরী করে মূল জমিতে রোপন করা হচ্ছে।
প্রকল্প কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানব সম্পাদে পরিনত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণলদ্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করলে দ্বিগুন ফসল উৎপাদন হয়। কৃষকদের বিনামূলে সার, বীজ প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার সরঞ্জামাদি বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়েছে । চারা তৈরী করে রোপন করলে ফসল আগে পাওয়া যায়। লবণাক্ততা আসার আগেই গাছ বেড়ে উঠে। বৈরী আবহাওয়া আসার আগেই কৃষক তার ফসল বিক্রি করতে পারেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছে। এইঅঞ্চল উৎপাদনে সফলতা লাভ করেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কৃষক তরমুজ উৎপাদনে উৎসাহ বোধ করছেন।