ইউনিক ডেস্ক : চৈত্রের শুরুতে খুলনার বাজারে দেখা মিলছে আগাম জাতের তরমুজ। ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণা মেটানো ও শরীরে প্রশান্তি দিতে এ ফলটির বেশ চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের কাছে। ফলটি আগাম আসায় দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। খুলনা বিভাগের প্রধান ফলের পাইকারি বাজার কদমতলায় গিয়ে দেখা গেছে মূল সিজনের মতো তরমুজের দেখা মিলছে আড়ৎগুলোতে। কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে করে খুলনার বাজারে এ আগাম জাতের তরমুজ আসছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। ফলব্যবসায়ীরা আরো জানিয়েছেন, গরমকালের তরমুজ এখনো আসেনি। ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে সেগুলো চলে আসবে। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। বাজারে আগাম জাতের তরমুজ উঠেছে মোকামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অল্প লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকাল এল এর দাম আরো কমবে। জানা গেছে, বাজারে যেসব আগাম জাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিগ ফেমেলি ও রয়্যাল ফ্যামিলি, বালি, ব্লাক সুইট, কালা, কালো ব্লাকবেরি, বাংলালিংক, গ্রামীন, ব্লাক লায়ন, আনারকলি, চায়না-২, এশিয়ান -২। গতকাল সকালে নগরীর ইসলামপুর রোডের ফল বিক্রেতা রুহুল আমিন জানান, আগাম জাতের এসব তরমুজ কোনটাই খুলনায় চাষ হয়নি। এগুলেঅ সাগরকন্যা কৃুয়াকাটাসহ অন্য বেশ কিছু এলাকা থেকে আনা হয়েছে। বাজারে এগুলোর চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা, পেয়ারা ৬০ টাকা, কলা ৬০ টাকা ও ডাবকুল ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। অপর ফল ব্যবসায়ী মানজু বলেন, এখন আগাম জাতের যেসব তরমুজ দেখা যাচ্ছে এগুলো খুলনায় চাষ হয়না। দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এগুলো খুলনায় এসেছে। গত তিনদিন আগে আমি এসব আগাম জাতের তরমুজ এনেছি। ভ্যানে ভ্রাম্যমান তরমুজ বিক্রেতা আমিন বলেন, প্রতি কেজি তরমুজ প্রথম দিকে ৬০ টাকা করে বিক্রি করেছি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। দাম একটু বেশি হলেও সিজনের তরমুজ বাজারে আসলে দাম কমে যাবে। রবিন নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রথম তরমুজ উঠেছে যা দেখে ভলো লাগছে। কালো ডোরাকাটা তরমুজ সকলের দৃষ্টি কাড়ছে। তবু দামের কথা চিন্তা না করে কিনে ফেললাম।