নড়াইল টিটিসি’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২৮ - ১২:০৪

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল টিটিসি’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল বাসার আল মামুন সিদ্দিকীর বিরূদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন গত রোববার অনুসন্ধানে জানা গেছে, আবুল বাসার আল মামুন সিদ্দিকী ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নড়াইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগদান করেন। যোগদানের পরই তিনি দুর্নীতি অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতে জড়িয়ে পড়েন। গত ১৫ জানুয়ারি বিএমইটি’র মহাপরিচালক নড়াইল টিটিসি পরিদর্শনে আসেন। তার আগমন উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৮০হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়। মহাপরিচালক কে সম্মানী দেয়া বাবদ ৪৭ হাজার টাকা দেখানো হয়। এ সকল খরচ প্রতিটি ট্রেডের কাঁচামাল হতে সমন্বয় করার জন্য বলা হয়। ট্রেড ইনচার্জদেরকে দিয়ে ২টি করে ২৪ হাজার ৯শ ৫০টাকার ভাউচার করানো হয়। ১টি ভাউচারের মালামাল ট্রেডে ক্রয় করে দেয়ার কথা বলেন। আরেকটি ভাউচারের টাকা তিনি ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে নেন।

নড়াইল টিটিসি’তে ড্রাইভিং কোর্সের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। অথচ অটোমোটিভ ট্রেডের প্রবক্স গাড়ীটি অধ্যক্ষ আবুল বাসার আল মামুন সিদ্দিকীর ছেলে ও মেয়েকে স্কুলে আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অত্র কেন্দ্র’র মেকানিক্যাল ট্রেডের ইন্সট্রাক্টর হাবিবুর রহমান ও রাশেদুল ইসলাম অনেক সময় তাদের নিজস্ব কাজে ব্যবহার করছেন গাড়ীটি। আবার অধ্যক্ষের পছন্দের কিছু তাবলীগ জামাতের লোকদেরকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় আনা-নেয়া করা হয়।

আবার প্রায়ই অধ্যক্ষ নিজ বাড়ি যশোর যেতে এবং শ্বশুরবাড়ী ঝিনাইদহ যেতে প্রবক্স গাড়িটি নিয়ে যান। এসব কাজে ব্যবহারের ফলে প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকে।

কেশবপুর টিটিসি’র গাড়ীটি (ঢাকা মেট্রো-খ ১২-৩৭৮০) নড়াইল টিটিসি’তে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেইপ কোর্সের সহকারি ড্রাইভিং প্রশিক্ষককে দিয়ে এ গাড়ীর সার্ভিসিং করিয়ে ৫০ হাজার টাকা ভাউচার দেখানো হয়েছে। কেশবপুর টিটিসি’র প্রশিক্ষণ / অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রেখে নড়াইল টিটিসি’তে অধ্যক্ষের পছন্দের কিছু প্রশিক্ষক দিয়ে গাড়ীটি ব্যবহার করাচ্ছেন।

নিজের অপকর্মের সুবিধার জন্য প্রশিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করেছেন। যে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী পূর্বের অধ্যক্ষ’র সাথে কাজ করেছেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন তাদের সবাইকে দায়িত্ব হতে অব্যহতি দিয়ে নিজের অনুগত লোকজন দিয়ে অফিস পরিচালনা করছেন। কথায় কথায় প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদের ঝালকাঠি টিটিসি’তে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। কোন কথা বলতে গেলে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা সহ দেখে নেয়ার হুমকি দেন। স্থানীয় উঠতি বয়সি কিছু মাদকাসক্ত বখাটের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। তার অপকর্মে সহযোগিতা করতে না চাইলে তাদের দিয়ে অফিসের বাহিরে হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দেন। ইতোমধ্যে দু’জন হামলার শিকার হয়েছেন। অনেক কর্মকর্তা/কর্মচারী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।