ক্রীড়া প্রতিবেদক : তখন তিনি ছিলেন ২৪ বছরের টগবগে তরুণ। সময়টা ২০১৫ সাল। চন্দিকা হাতুরাসিংহের বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়ে যান রনি তালুকদার। একটিমাত্র ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। তার পরবর্তী ৮ বছর কেন যে তিনি জাতীয় দলের বাইরে থেকে গেলেন- সে প্রশ্নের জবাব নেই কারও কাছেই! ৩২ বছর বয়সে এসে বিপিএলে পারফর্ম করে ফের জাতীয় দলে ফিরেন রনি তালুকদার। মাত্র দুই সিরিজেই হয়ে ওঠেন নির্ভরযোগ্য ওপেনার। এখন তার বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখে নেচে ওঠে গোটা দেশ।
জাতীয় দলের হয়ে রনির এই সাফল্য দেখে যেতে পারেননি তার খেলাপাগল বাবা মনোরঞ্জন তালুকদার। ছেলের সাফল্য দেখা তো পরের কথা, ২০১৫ সালে রনির অভিষেকের আগেই তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। তাইতো গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৬৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ম্যাচসেরা হওয়ার পর ফেসবুকে রনি লিখলেন, ‘বাবা তোমাকে অনেক মনে পড়ছে। আমি জানি তুমি ওপর থেকে আমাদের দেখছ।’
রনিরা তিন ভাই- রাজীব তালুকদার, রনি তালুকদার এবং জনি তালুকদার। বাবা মনোরঞ্জন তালুকদারের স্বপ্ন ছিল, তিন ছেলের একজন জাতীয় দলে খেলবে। বড় ভাই রাজীব ক্রিকেট খেললেও জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে পারেননি। তবে তিনি তার ছোট ভাই রনিকে গড়ে তুলেছেন ক্রিকেটার হিসেবে। রনি পূরণ করেছেন বাবার স্বপ্ন। সেই চন্দিকা হাতুরাসিংহের দ্বিতীয় মেয়াদেই ফের জাতীয় দলে এসেছেন রনি। তাকে এখন লম্বা রেসের ঘোড়া হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ দল।