মায়ের আকুতি : অপহৃত কন্যাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করুন

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-৩০ - ১৩:০১

ইউনিক ডেস্ক : খালিশপুর থানাধীন ১নং নেভী চেকপোস্ট হালদার পাড়া জাহাঙ্গিরের বাড়ির সুলতানা বেগমের অপহৃত কন্যা মারিয়া মাহবুবকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য আকুতি জানিয়েছেন। তিনি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান।

 লিখিত বক্তব্যে মা সুলতানা বেগম বলেন, আমার একমাত্র কন্যা মারিয়া মাহাবুব সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-এর সিভিল ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্রী। গত ২২ জানুয়ারি ২০২৩ বিকাল আনুমানিক ৫ টায় কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী কালো রং-এর একটি মাইক্রোবাসে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে গত ২৩ জানুয়ারি জেলা খুলনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-০৩ আদালতে খালিশপুর থানার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের পাশের গলির বাসিন্দা নান্টু শেখের পুত্র শাকিল শেখ, রায়ের মহল মল্লিক বাড়ির কল্লাস মল্লিক এর পুত্র  জুইন মল্লিক, সোনাডাঙ্গা বাসস্টান্ড সংলগ্ন মিজান নগর আইডিয়াল কলেজের সামনে মাস্টারের বাড়ির মোঃ অহিদুল-এর পুত্র হৃদয় এবং সোনাডাঙ্গার আল আমিন মহল্লা ৩য় গলির (মাইকেল মন্ডলের বাড়ির ভাড়াটিয়া) সাইদুল ইসলাম সাইদ এর কন্যা বৃষ্টি বেগমকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং-১৬/২৩। মামলা করার পর বিজ্ঞ আদালত খালিশপুর থানাকে তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ প্রদান করেন। আসামীদের মধ্যে ৪নং আসামী বৃষ্টি বেগমকে গ্রেফতার পূর্বক জেলে প্রেরণ করা হয়। এই অপহরণের সাথে জড়িতদের নাম বললেও পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আসামীর পরিবার সরকারী দলের লোক।

সম্মেলনে তিনি বলেন, ২মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও বাকি আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আমি পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি আবেদন করি। এতে কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। আসামীরা নানাভাবে মামলা তুলে নিতে আমাদের হুমকি প্রদান করছে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে আমাকেও অপহরণের হুমকি প্রদান করে। আমার কন্যা মারিয়া মাহাবুব কোন্ অবস্থায় আছে তা আমরা আজও পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারিনি। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা অব্যাহত হুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

 তিনি মারিয়া মাহাবুব কে উদ্ধার করে এবং আসামীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এ সময় মারিয়া মাহবুরের পিতা মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।