যশোর এমএম কলেজ হলে ছাত্রলীগের ভাংচুর, কমিটি বিলুপ্ত

প্রকাশঃ ২০২৩-০৪-০৭ - ১৫:২১

যশোর অফিস : যশোরে মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এমএম কলেজ) আসাদ হলে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে আহুত কর্মসূচিতে না যাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে হলের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাংচুর করা হয়েছে। এদিকে কর্মসূচিতে অংশ না নেয়ার জেরে রাতে এক বিবৃতিতে এম এম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণের সাড়ে ৬ বছর পর বিলুপ্ত করা হলো এ কমিটি।

আসাদ হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বুধবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম আলোর অপসাংবাদিকতার প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস। এ মানববন্ধনে অনুপস্থিত ছিলো আসাদ হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে সভাপতি হলে যান। সেখানে কাউকে না পেয়ে তিনি ছাত্রাবাসের ২০১, ২০২, ২০৩, ও ২০৫ নাম্বার কক্ষ ভাংচুর করেন। এই ভাংচুরে সভাপতি ছাড়াও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলেন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

আসাদ হলের বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন রনি বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কয়েকজন অছাত্র মিলে ছাত্রাবাসে অতর্কিতভাবে ভাংচুর চালায়। হঠাৎ করেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে এমন ঘটনায় সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব ভাংচুরে সরাসরি অংশ না নিলেও হলের প্রধান ফটকের বাইরে উপস্থিত ছিলেন।

তবে অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস। তিনি বলেন, ‘নুর ইসলাম নামে এক বখাটে হলে ভাংচুর করে এর দায়ভার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে দিচ্ছে। তাছাড়া কলেজে ক্যাম্পাসে তো সিসি ক্যামেরা রয়েছে; ওগুলো যাচাই-বাছাই করলেই দেখা যাবে কে ছাত্রাবাস ভাংচুর করেছে।

এদিকে ভাংচুরের ঘটনার পরে কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বক্কর সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ‘কলেজ প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এম এম কলেজে ভাঙচুরের কোন ঘটনা তার জানা নেই। এমনকি কলেজ প্রশাসনও আমাদের অবগত করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের আহুত কর্মসূচিতে অংশ না নেয়ার জেরে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে এম এম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, ২০১৫ সালের ৬ জুলাই এমএম কলেজ ছাত্রলীগে ৬৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন তৎকালীন জেলা সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল। ওই কমিটির সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী জেলা সভাপতি হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় সহসভাপতি নূর ইসলামকে।