নওয়াপাড়া অফিস : পূর্বে ব্যবহৃত রড বেঁধে ঢালাই দেয়া হচ্ছিল অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ছাদ। এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার ঢালাইয়ের সময় ওই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মেরামত কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি)। কাজের প্রাক্কলিত মুল্য ১৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৬৮ টাকা। চুক্তি মুল্য ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ২১৯ টাকা। যশোরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাইফুল ট্রেডার্স গত জানুয়ারী মাসে কাজটি পেয়ে কাজ শুরু করেন।
এলাকাবাসির কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে কাজটি করছে। কাজের সাইডে সাইনবোর্ড দেয়ার কথা থাকলেও কোনো সাইনবোর্ড দেয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার ওই প্রতিষ্ঠানের ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু ছাদে পুরানো ব্যবহৃত রড ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া একফিট অন্তর অন্তর করে ৮ মিলি রড বাঁধা হয়। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান উপস্থিত থেকে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করতে গেলে এলাকাবাসি ব্যবহৃত রড দেখে কাজে বাঁধা দেয়। এসময় ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে এলাকাবাসির ৩০/৩৫জন উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপর ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করা হয়। কাজের দরপত্র দেখতে চাইলে ঠিকাদার ও প্রকৌশলী দরপত্র দেখাতে চাননি।
বাঘুটিয়া গ্রামের ইতারুল ইসলাম বলেন, আমরা সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে বলেছি। কাজের মান আগে থেইে নিম্নমানের করা হচ্ছিলো। ছাদ ঢালইয়ের সময় অন্য কোন ছাদে ব্যবহৃত পূরাতন রড ব্যবহার করা হয়েছিলো। তাই আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তৈয়েবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সিডিউল দেখে কাজ বুঝে নিতে চেয়েছি। কিন্তু সিডিউল দেখায়নি। পুরাতন ব্যবহৃত রড ব্যবহার করা হয়েছে। এবং রড ফাঁকা ফাঁকা করে বাধা আছে। যে কারণে এলাকার লোক কাজটি বন্ধ করে দেয়। সিডিউল দেখালে সে মোতাবেক কাজ বুঝে নেব।’
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৯১২০৭৫১৪৭) কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঠিকাদার মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, কাজ দরপত্র মোতাবেক হচ্ছে। একটিমাত্র পুরাতন রড ব্যবহার করা হয়েছে। সাইনবোর্ড কেন দেয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন সাইনবোর্ড দিতে হবে এখন জানলাম সাইনবোর্ড দেব।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, কাজ বুঝে নেয়ার জন্য আমার লোক আছে। কাজে পুরানো রড ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা আমি খোজ নিয়ে দেখছি।