যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চান্দুটিয়ায় বুকভরা বাঁওড় পাড়ে প্রবাসী সোহেল রানা খুনের প্রধান আসামি ফারাবীকে আটক করেছে পুলিশ । কোতয়ালি মডেল থানার এস আই মাইদুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে খুলনা থেকে তাকে আটক করেন। পরে রাত ১২ টার দিকে তার স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। ফারাবি আলমনগর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। এর আগে পুলিশ নিহত সোহেলের স্ত্রী খুশি মিম ও ভাইপো জিসানকে আটক করেন। নিহত সোহেল রানা হালসা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
কোতয়ালি মডেল থানার এস আই মাইদুল জানান, ফারাবিকে আটকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযানও চালানো হয়। সর্বশেষ শনিবার রাতে ফারাবিকে খুলনা থেকে আটক করা হয়। পরে রাত ১২ টার দিকে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় ফারাবির স্বীকারোক্তিতে সোহেল খুনে ব্যবহৃত হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত. গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় চান্দুটিয়া-মঠবাড়ির বুকভরা বাঁওড় পাড়ে দুবাই প্রবাসী সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়।তিনি দ্বিতীয় রমজানে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার সময় তিনি আপন ভাইপো জিসানের মোটরসাইকেলে করে আলমনগর গ্রামে শ্বশুর আব্দুল আলিমের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। হত্যার ঘটনায় শুক্রবার নিহতের ভাই শাকিল খান বাদি হয়ে নিহতের স্ত্রী খুশি মিম, তার ভাতিজা জিয়াদুল ইসলাম জিসান ও খুশির পরকীয়া প্রেমিক ফারাবিকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরে যশোর কোতয়ালী থানা ও জেলা ডিবি পুলিশের সদস্যরা খুশি ও জিসানকে গ্রেফতার করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভাতিজা জিসান হত্যাকান্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, সোহেল রানার সাথে পারিবারিক বিরোধ ছিলো জিসানের। ফলে গোপনে কাকি খুশি মিমের পরকীয়া প্রেমিক ফারাবির হাত মেলায় জিসান। ফারাবির সাথে কাকির পরকীয়ার বিষয়টি সে আগে থেকেই জানতো। ফলে খুশি মিম, ফারাবি ও জিসান মিলে সোহেল রানাকে খুনের পরিকল্পনা করে। কৌশলে মিশন সফলও করে। কাকা সোহেল রানাকে শ্বশুর বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য মোটরসাইকেলে উঠার আগে ফারাবিকে প্রস্তুত থাকতে বলে জিসান। আর পথের কাটা সরাতে সোহেল রানাকে খুনের পরিকল্পনায় সহায়তা করে খুশি মিম। সুত্র জানায়, সোহেল রানাকে খুনের পর ফারাবি আত্মগোপন করে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর ছিলো।