ইউনিক ডেস্ক : খুলনার ডাক বাংলার মোড় থেকে যত দূর চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। যেন জনগ্রোত। বিপণিবিতান কিংবা ফুটপাত, কোথাও দাঁড়ানোর এক চিলতে জায়গা নেই। ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী। গরম আর ভিড় এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটার জন্য অনেকে রাতকে বেছে নিয়েছেন।
খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, জলিল সুপার মার্কেট, খুলনা বিপণিবিতান, এস এম এ রব শপিং কমপ্লেক্স, মশিউর রহমান মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, জব্বার মার্কেট, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বর্ণিল ও বাহারি আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে বিপণিবিতানগুলোকে।
রাতে অভিজাত মার্কেট খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের বিভা ফ্যাশন হাউসের মালিক শেখ হাবিবুর রহমান বেলাল বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে একটু ভিড় বেশি হয়। তবে সকালেও কিছু সময় ভিড় থাকে। নারীদের বিভিন্ন রেডি ড্রেস বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় বিভিন্ন পোশাকের চাহিদা বেশি। রেলওয়ে মার্কেটের পাঞ্জাবি ঘরের শাকিল বলেন, বিক্রি বেশ ভালো, কথা বলার সময় নেই।
এস এম এ রব শপিং কমপ্লেক্সের বিসমিল্লাহ বস্ত্র বিতানের বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতার পদচারণায় মার্কেট মুখর হয়ে উঠছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে রাতে ভিড় বেশি। মো. সাদি নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে দিনে মার্কেটে আসা দায়। যে কারণে রাতে এসেছি।
দোকানীরা জানান, বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় জমতে শুরু হয় ইফতারির পর থেকে। রাত যত বাড়তে থাকে, ক্রেতাদের উপস্থিতিও তত বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় মধ্যরাতেই ঈদের কেনাকাটা বেশি জমে উঠে। মার্কেট ছাড়াও নানান পোশাকের নিত্য নতুন কালেকশনের পসরা সাজিয়েছে নগরীর ফুটপাতের দোকানীরা। রাতে সেখানেও ভিড় বেশি।
তবে পণ্যসামগ্রীর দাম আগের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। নতুন জামা-কাপড় ও জুতার পাশাপাশি কসমেটিকস দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি নিচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন দোকানে দেওয়া হচ্ছে অফার।