পুলিশ কমিশনারকে বিএমএ’র চিঠি
ইউনিক ডেস্ক : মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁস ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে খুলনার চার চিকিৎসককে সিআইডি (ঢাকা) শুক্রবার সকালে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার পর থেকে এপর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান মেলেনি। আজ সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েন (বিএমএ) খুলনা শাখার পক্ষ থেকে ওই চার চিকিৎসকের খোঁজ জানতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের নিকট চিঠি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএমএ এর সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নিখোঁজ চার চিকিৎসকের মধ্যে রয়েছেন, ডা: লামিয়া কে, ২৫ জেনারেল প্রাকটিশনার, ডা: নাজিয়া মেহেজাবিন তৃষা কে,২৫, ডা: সর্মিষ্টা মন্ডল কে ২৫ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ডা: লুইস সৌরভ সরকার। ডা: লামিয়া ছাড়া অন্য তিনজন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) থেকে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। ওই চিকিৎসদের পরিবারের লোকেরাও কোন সন্ধ্যান দিতে পারছে না বলে তিনি জানান। নিখোঁজ চিকিৎসকদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিএমএ’র নিকট আবেদন জানানো হয়েছে। তাদের আবেদনের প্রোক্ষিতে বিএমএ পুলিশ কমিশনারের নিকট চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার সদস্যরা শুক্রবার ভোরে ডা. ইউনুস খান তারিমকে খুলনা থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যান। তিনি খুলনা জেলা স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক ও থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক। সূত্রটি জানায় ডা. তারিম খান মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে জড়িত। তিনি থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আয় করেছেনকোটি কোটি টাকা । তিনি ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে মেধাহীন, অযোগ্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করে দেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) ছত্রধর ত্রিপুরার নিকট নিখোঁজ চিকিৎসকরদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। আপনারা ঢাকা সিআইডির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
এর আগে মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এদের মধ্যে আট জনই চিকিৎসক। তাদের সবাই বিভিন্ন মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টার, নয়তো প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে প্রশ্ন ফাঁস করতেন। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে ডাক্তার হয়েছেন দেশে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। প্রশ্ন ফাঁস চক্রটি ২০০১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ বছরে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতি বছর গড়ে ১৫০ জনের মতো ভর্তি করিয়েছে। এদের মধ্যে বড় ব্যবসায়ী, ডাক্তার ও সরকারি কর্মকর্তাদের সন্তানরাও রয়েছেন।