ইউনিক ডেক্সঃ দিনে দিনে মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হয়েছে। এতে ডিমেনশিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা মস্তিষ্কের রোগের বিরুদ্ধে ‘প্রতিরোধ’ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সামগ্রিক ঝুঁকি কমবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। ‘ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডি’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি গত সোমবার আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত মাসিক ‘জামা নিউরোলজি’ জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।
এই গবেষণা ১৯৪৮ সাল থেকে চলমান। কার্ডিওভাসকুলার ও অন্যান্য রোগের অনেক প্রজন্মের প্যাটার্ন অধ্যয়ন করতে এই গবেষণার তথ্য ব্যবহার করা হয়। গবেষণার আওতায় ‘ব্রেইন ইমেজিং ডেটা’ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৯৭০-এর দশকে জন্ম নেওয়াদের চেয়ে ১৯৩০-এর দশকে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের আকার বড়।
এর আগে ‘ফ্রেমিংহাম হার্ট স্টাডি’র আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ডিমেনশিয়ার ঘটনা কমছে।
ডেভিসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আলঝেইমার ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক চার্লস ডিকার্লি বলেন, মস্তিষ্কের আকারের এই পার্থক্যটি কমপক্ষে উচ্চ বিদ্যালয় পাস করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধি পাওয়ায় বার্ধক্যজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়বে বলে গবেষকদের বিশ্বাস। ডিমেনশিয়ার (এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বুদ্ধি, স্মৃতি ও ব্যক্তিত্ব লোপ পেতে থাকে) সামগ্রিক ঝুঁকিও কমবে।
মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধিতে উন্নত জীবনধারা ও পরিবেশগত ভূমিকার প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, গবেষণার এই ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে ব্যক্তির অনেক কিছু করণীয় রয়েছে।
তবে এই গবেষণায় কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। তা হলো- যাদের মস্তিষ্কের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই গবেষণা, তারা সবাই মূলত শ্বেতাঙ্গ, স্বাস্থ্যবান ও সুশিক্ষিত। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোনো ব্যক্তির তথ্য এই গবেষণায় নেই।