বান্দরবান প্রতিনিধিঃ বান্দরবান লামায় বন্যা পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। বন্যা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো নিয়েই আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বন্যার্তদের।
পর পর কয়েক দফা বন্যার কারণে উপজেলার শত শত রিং টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ।
৪জুলাই মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বন্যা পরিস্থিতি কিছুতা উন্নতি দেখা দিলেও বুধবার দুপুর থেকে ভারী বর্ষণে ধেয়ে আসা উজানে পানি আবারো নিম্মাঞ্চল কয়েকটি এলাকায় প্লাবিত হতে শুরু করে। যার ফলে বন্যার্ত মানুষের মনে এ আতঙ্ক আরো বাড়ছে।
এদিকে সম্প্রতিক বন্যায় লামা উপজেলায় কয়েক শ কাঁচা ঘর-বাড়ি পানিতে ধসে গেছে। এসব গৃহহীন মানুষ গুলো বর্তমানে অত্যান্ত খারাপ পরিস্থিতি পার করছে। সেই সাথে নিম্ম আয়ের মানুষগুলোর, বিশেষ করে দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালকরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। তাদের হাতে কোন কাজ নেই, অতত্রব টাকাও নেই, ফলে এসব শ্রেণি পেশার মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে।
পানি যতই নেমে যাচ্ছে ডুবে থাকা রাস্তাগুলোর এক একটা বিশ্রী চেহারা ভেসে উঠছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে পৌর শহরে সবকটি সড়কের অবস্থা ল-ভ হয়ে গেছে। কিন্তু বুধবার সকাল ৯টা থেকে লামা পৌরসভা ও দমকল বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পৌর শহরে বিশ্রী চেহারা সড়কগুলো পরিষ্কার অভিযান করে।
৫ জুলাই বুধবার উপজেলা গজালিয়া ইউনিয়নে ছোটবমু এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে জন প্রতি ১৫ কেজি চাউল ও খাবার লবন বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খিন ওয়ান নু ও গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মারমা।
অপরদিকে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হলেও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লামা-আলীকদম-চকরিয়া ফাঁসিয়াখালি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে ওঠেছে।