বরিশাল : ঝারকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদারকে (৬০) অন্যায় এবং হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করার দাবি করেছেন, তার স্ত্রী নামজমা বেগম।
জানাযায়, ঢাকা মোহাম্মপুর একতা হাউজিং তার নিজস্ব বাসা থেকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত শনিবার গ্রেফতার করে এবং আদালত থেকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসেন।
পুলিশ জানান, সে মোহাম্মদুপর থানার ১৮ নম্বর মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। তার বিরুদ্ধে গত ৫ সেপ্টেম্বর নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার সোব নাগদহ গ্রামের মো. আবু বকর মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন নাহিদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকার মোহাম্মদপুর আসাদ এভিনিউ এলাকায় জনমনে আতংক সৃষ্টি এবং বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে হত্যার করা হয়। এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাটোর-১ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খান, ঢাকা-১ আসনের আরেক সাবেক এমপি শরিফুল ইসলাম মুকুলসহ ঢাকা সিটি করপোরেশন ৪ কাউন্সিলারসহ ১৩৬ জনকে আসামী করা হয়। এ মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার রানাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদারকেও আসামী করা হয়।
পারিবারিকসূত্রে জানাযায়, মো. শাহজাহান হাওলাদার চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করে একটি রিয়েল এ্যাষ্টেট কোম্পানীর ব্যবসা করতো। ওই ব্যবসার কর্মচারী আবরা (৫০) প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এই নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। কোম্পানীর পক্ষ থেকে আবরার বিরুদ্ধে প্রতারনা এবং অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়েছে। ব্যবসায়িক বিরোধের সূত্রধরে প্রতারকচক্র সরকার পরিবর্তনের সুযোগে এ মামলার বাদীকে ম্যানেজ করে আসামী করা হয়েছে। তার স্ত্রী আরও জানান, তার স্বামী নির্দোষ এবং ভাল মানুষ। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন প্রান্তে একটি অভিযোগ খুজেঁ বের করতে পারবে না। ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শাহজাহান হাওলাদার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকায় আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াতসহ কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠির অভিযোগ নেই। ওই চেয়ারম্যানের এলাকায় ঘুরে জানাযায়, তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ নেই। রানাপাশা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান জানান, তার এলাকার চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার একজন ভাল মানুষ। তাকে এ ধরনের একটি মামলায় সম্পৃক্ত করা সমোচিত হয়নি। রানাপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম জানান, শাহজাহান চেয়ারম্যান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঠিক কিন্ত তাকে এ ধরনের মামলায় জড়ানো সঠিক হয়নি। তবে পুলিশ গ্রেফতারের পূর্বে অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখা উচিত ছিল, ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্পৃক্ত ছিলেন কিনা।