কেশবপুর প্রতিনিধি : শহীদ ফ্লাইট লে. মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের তালা ভেঙ্গে শরীফুলের প্রিন্সিপাল দাবি করেন।
সাবেক অধ্যক্ষ জনাব মোঃ মশিয়ুর রহমান সাহেব ০৪/০৬/২০২২ তারিখ অবসর গ্রহন করেন। তখন তার শেষ মিটিং এ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করে তৎকালীন এম.পি শাহীন চাকলাদারের নির্দেশনায় তৎ কালীন সময়ের সভাপতি জনাব মোঃ সামছুর রহমান একজন জুনিয়র প্রভাষক জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমান (প্রভাষক গণিত) কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেন। তখন কে বা কারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অবগতি করালে জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমানকে অবৈধ ঘোষনা করে দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য ০৮ (আট) বার পত্র জারি করে। ওবায়দুর রহমান হাইকোটে রীটের মাধ্যমে টিকে থাকলেও ডি,জি তার বেতন স্থগিত করে দেয়। গত ১৪/০৬/২০২৪ ইং তারিখ গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হলে গভার্নিং বডি অনুমোদনের জন্য জনাব মোঃ ওবায়দুর রহমান কর্তৃক আবেদন করলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩১/০৭/২০২৪ ইং তারিখ একজন সিনিয়র শিক্ষকের উপর দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য চরমপত্র প্রদান করে এবং আবেদনকৃত গভার্নিং বডি অনুমোদন না দিয়ে একক সভাপতি পদ অনুমোদন দেয়। তখন ৩১/০৭/২০২৪ তারিখ এম,পি আজিজের স্ত্রী সোনিয়া পরভীন সভাপতি হন। সংঙ্গে সংঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতিকে এই মর্মে চরমপত্র প্রদান করে যে ওবায়দুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ০৫ (পাঁচ) জন সিনিয়র শিক্ষকের মধ্যে থেকে যে কোন একজনকে দায়িত্ব নিয়ে পুনরায় গভর্নিং বডির আবেদন করলে অনুমোদন দেওয়া হবে। এমতাবস্থায় সভাপতি সোনিয়া পারভীন সিনিয়র শিক্ষক জনাব জি,এম সাজ্জাত হোসেন (সহকারি অধ্যাপক) কে দায়িত্ব প্রদান করেন। তখন ওবায়দুর রহমান ও দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে ১১/০৮/২০২৪ তারিখ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ইউএনও মহোদয়কে সভাপতি হিসেবে অনুমোদন দেয়। কিছুদিন পরে সেই কমিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভেঙ্গে দিয়ে পরবর্তীর্তে ২৯/০৮/২০২৪ তারিখ পুনরায় এডহক কমিটি গঠনের জন্য পরিপত্র জারি করে। সে কারনে আরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব জি,এম সাজ্জাত হোসেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (সাবেক এমপি) সেজো ছেলে জনাব সৈয়দ জাহিদ হোসেন কে সভাপতি ও অন্য আর একজনকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত করে এডহক কমিটি অনুমোদনের জন্য গত ০৯/০৯/২০২৪ তারিখ অনলাইন ও সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করে। এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিধি উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ গোপনীয় ভাবে কলেজের সিনিয়র প্রভাষক জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম (সমাজ বিজ্ঞান) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেজে নিজ স্বার্থ হাছিল করার মানসে গত ০১/০৯/২০২৪ তারিখ ভিন্ন একটি এডহক কমিটি অনুমোদনের জন্য হস্তলিখিত ফরমে আবেদন করে। যে আবেদনের হস্ত লেখা হলো দুর্নীতিবাজ কলেজের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতকারী বর্তমান পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মশিয়ুর রহমান ।
অথচ মোঃ শরিফুল ইসলাম সাহেব ০১/০৯/২০২৪ তারিখেও কলেজের হাজিরা খাতায় সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন এবং কলেজে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কখনো ভায়গ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা উপাধ্যক্ষ পদে ছিলেন না। এমপিও শীট ও হাজিরা খাতায় এখনো তিনি সিনিয়র প্রভাষক হিসেবেই আছেন। এই জালিয়াত্তিকৃত ভুয়া এডহক কমিটি পরবর্তীতে সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূতভাবে গত ১৮/০৯/২০২৪ তারিখ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব জি,এম সাজ্জাত হোসেনকে না জানিয়ে শরিফুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করে। কলেজটি বন্যায় প্লাবিত হওয়ার কারণে বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কতিপয় সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে কলেজের গেট ও দরজার তালা ভেঙ্গে অবৈধ ভারপ্রান্ত অধ্যক্ষের দাবিদারের সাথে কলেজের আওয়ামী পন্থী দুই জন শিক্ষক ১. এস.এম হাফিজুর এহয়ান ও ২. যুবলীগ নেতা রাম
মোহন রায়) ছাড়া আর কোন শিক্ষক কর্মচারি যোগদান করেনি। এমনকি এই অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ভূয়া কমিটির উপর এলাকার সাধারণ মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ।
উল্লেখ্য যে, উক্ত আবেদনের হস্ত লেখক জনাব মোঃ মশিয়ুর রহমান সর্বশেষ অধ্যক্ষ (২০১৯- ২০২২) দায়িত্ব পালনকালে কলেজের নিয়োগ বাণিজ্যে এবং কলেজের কৃষি ডিপ্লোমা শাখার আয় ও কৃষি ডিপ্লোমার এমপিও ছাড়ানোর নামে শিক্ষকদের নিকট থেকে যে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তার সাথে মোঃ শরিফুল ইসলাম শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল। কলেজের সকল শিক্ষক কর্মচারী অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে বয়কটের ঘোষনা দিয়েছে।