শার্শায় বিএনপির দুই নেতার যোগসাজশে চলছে চাঁদাবাজি!

প্রকাশঃ ২০২৫-০২-২০ - ২১:৩২

যশোর অফিস : যশোরের শার্শার বেলতলা কুলবাজার দখল করে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উল্টো চাঁদার টাকা বিভিন্ন মহলে ভাগাভাগির অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম আরোও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বিএনপির দুই নেতা মাহামুদ হোসেন,কামরুজ্জামান, সাইফুল ও বাগআঁচড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কিছু অসাধু শ্রমিক একত্রিত হয়ে সিলিপের মাধ্যমে ট্রাক প্রতি ২শ টাকা থেকে ৪শ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে বলে ট্রাক চালকদের অভিযোগ। চাঁদা না দিলে ট্রাক লোড-আনলোডে বাধা ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে বেলতলা কুল বাজার সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে,প্রতিবছর শার্শার বেলতলা বাজারে মৌসুমি বাজার হিসেবে আম ও কুলের পাইকারি বাজার বসে। দুই মৌসুমে বেলতলা বাজারে কোটি কোটি টাকার আম ও কুল পাইকারি বেচাকেনা হয়। আর এ আম ও কুল দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাক ও পিকআপে সরবরাহ হয়ে থাকে। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু মটর শ্রমিক ও তথাকথিত বেলতলা বাজার কমিটির সভাপতি মো. মাহামুদ হোসেন ও সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রতি ট্রাক থেকে ২শ টাকা থেকে ৪শ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এতে চাঁদার রশিদও দেওয়া হচ্ছে। তাতে লেখা আছে ট্রাক বন্দোবস্তকারী অফিস। ট্রেড লাইসেন্স নং ৬৮৮, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর আ.লীগ দুর্বৃত্তরা বেলতলা বাজার দখল করে রেখেছিলো। ঐ সময় তারা পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর প্রথমে বেলতলা বাজারে পকেট কমিটির মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয় মো. মাহামুদ হোসেন ও কামরুজ্জামান। তারপর দখলে নেন বেলতলা বাজার। এরপর থেকে ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। মো. মাহামুদ হোসেন কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও কামরুজ্জামান সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। বেলতলা বাজারে ট্রাক লোড করতে আসা আব্দুল কুদ্দুস নামে এক ট্রাক চালক বলেন, তার কাছ থেকে ২শ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে।