রবিউল ইসলাম মিটু, যশোর : সন্ত্রাসীদের গুলিতে দোকানী টিপু সুলতান নিহত হওয়ার ঘটনায় শহরে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। সন্ত্রাসীদের পাল্টা পাল্টি ভাংচুরে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত টিপু সুলতান যশোর শহরের টিবি ক্লিনিক মোড়ের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ময়নাতদন্তের পর শনিবার বিকালে টিপুর স্বজন এবং এলাকাবাসী লাশ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করেন। তারা প্রথমে বিক্ষোভ সহকারে লাশ নিয়ে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে আসেন। এসময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ঘন্টাখানেক অবস্থানের পর তারা লাশ নিয়ে পৌরসভার কাউন্সিলার নেতা হাজি সুমনের অফিসের সামনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে লাশ নিয়ে তার বাড়িতে যান।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী ষষ্ঠিতলাপাড়ায় সন্ত্রাসী শিশিরের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িটি তছনছ করে। মারপিট করে শিশিরের মা চায়না ঘোষকে। সন্ত্রাসীরা এ সময় পরপর তিনটি বোমা ফাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। বোমার বিকট শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।
শিশিরের মা চায়না ঘোষ বলেন, ‘হামলার নেতৃত্বে ছিল মানিক নামে এক সন্ত্রাসী। এসময় তারা আমাকে মারপিট করে এবং বাড়ি ভাঙে।’ ঘটনার পরপরই কোতয়ালী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা সেখান থেকে বোমার কিছু আলামত উদ্ধার করে।
থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বোমাবাজির ঘটনা শুনে পুলিশ তখনই সেখানে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষ ও জালের কাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।’
এর আগে একই সন্ত্রাসীরা ষষ্ঠিতলাপাড়ার আরেক সন্ত্রাসী শুভর বাড়িতে হামলা চালায়। শুভকে না পেয়ে তারা বাড়িঘর ভাংচুর করে ফিরে যায়। এ সময় সেখানে পুলিশ অবস্থান করছিল বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা আলিফ স্টোরের বাড়ির ভাড়াটিয়া ফরিদের ছেলে আরিফকে মারপিট করে বাড়ি ভাংচুর করে।
উল্লেখ্য শনিবার বেলা ১১টার দিকে একদল সন্ত্রাসী শহরের টিবি ক্লিনিক এলাকায় একটি দোকানে বসে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সোহেল ওরফে ট্যাবলেট সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দোকানি টিপুর বুকে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার দেড় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে বলে পরিবারটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।