রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : যশোরের বেনাপোলে কাস্টমস-ইমিগ্রেশন ভবনে কাস্টমস ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি ও ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় দোষি পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে কাস্টসম হাউসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। একই সময়ে তারা মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করে।
রোববার সকালে বেনাপোল কাস্টসম হাউসের সামনে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় দু’দেশের মধ্যে ৩ ঘন্টা আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকে। পরে কাস্টমস সদস্যরা কাজে যোগ দিলে আবার আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হয়
বেনাপোল কাস্টমস অফিসার অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নজরুল বাঙ্গালী বলেন, সরকারি অফিস ভাংচুর ও কাস্টমস অফিসারদের ওপর হামলার ঘটঁনায় জড়িত ওসি ওমর শরীফসহ ৫ পুলিশের অপসারণের দাবিতে কালোব্যাজ ধারন, কর্মবিরতির পালন করছে। হামলার সুষ্ঠু বিচার না হলে দেশজুড়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ কমিশনার সাঈদ আহম্মেদ রুবেল, খুলনা-যশোর-বেনাপোল কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাঙালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুনসহ বেনাপোল কাস্টমস হাউজের তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এ হামলার ঘটনায় নিন্দা ও একত্বা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোশিয়েশন, বাংলাদেশে কাস্টমস এক্স্রসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশন, বাংলাদেশ কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট তৃতীয় শ্রেনী নির্বাহী কর্মচারী সমিতি।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের দুই জন আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে কাস্টমসে যান। এ সময় ওই যাত্রীর সঙ্গে মালামাল বেশি থাকায় পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করা হয়। এ নিয়ে পুলিশ ও কাস্টমস সদস্যদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে দুই পক্ষের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে এসে উত্তেজিত হয়ে ভবনের আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাঙচুর করেন। এ সময় কয়েকজন আহত হন।