কামরুল হোসেন মনি : খুলনায় করোনা ডেডিগেটেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেচে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত (আউট সোর্সিং) নজরুল ইসলাম এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে মহিলা ওয়ার্ডে একজন পুরুষকে ডিউটি দেওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ৬ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই গৃহবধূ করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকেই নজরুল ইসলাম তাকে উত্যক্ত করতে থাকে। রাতের বেলায় হুট হাট করে নানা অজুহাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। এছাড়া গভীর রাতে এসে মহিলা রোগীদের পেসার মাপা বা অক্সিজেন মাপার অজুহাতে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়ার চেষ্টা করতো।
ভূক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করেন, ১৩ জুন রাতে নজরুল মহিলা ওয়ার্ডে এসে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে অপারেশন থিয়েটারে আসতে বলে। না আসলে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি তিনি ওয়ার্ডের অন্য রোগীদের জানিয়ে অপারেশন থিয়েটার কক্ষে গেলে নজরুল তার হাত চেপে ধরে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্য রোগীরা তাকে ঘেরাও করে বিষয়টি নার্স ও ডাক্তারদের অবহিত করেন। ঘটনার পর বদরুজ্জামান নামের একজন এসে বেশি বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেয়। পরের দিন একাধিক ডাক্তার তার কাছে পুরো ঘটনা জানতে চান।
এদিকে চিকিৎসাধীন রোগীদের অভিযোগ, মহিলা ওয়ার্ডে একজন পুরুষকে দায়িত্ব দিয়ে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। ওই নজরুল আরো অনেক মহিলা রোগীর পেসার ও অক্সিজেন দেওয়ার অজুহাতে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়েছে।
করোনা হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, এটা তেমন এ বিষয়ে কোন বিষয় না। আমাদের অনেক কাজ আছে, এসব সামান্য বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। তবে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা: মেহেদী নেওয়াজ বলেন, এটি জঘন্যতম অপরাধ। এই ঘটনার নিন্দনীয়। দেশের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ ধরনের জঘন্যতম অপরাধ মেনে নেওয়া যায় না। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পরিচালক ডা: মুন্সী মোহাম্মদ রেজা সেকেন্দার বলেন, মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ওখানে মহিলারা (আয়া) দায়িত্ব পালন করবে। ওখানে পুরুষরা দায়িত্ব ছিলো আমাকে কেউ অবহিত করেননি।