এমসিএসকে’র দুটি ভবনের উদ্বোধন করলেন এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল ইমদাদুল

প্রকাশঃ ২০২৫-০৮-১৯ - ১৭:৪০

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা) // ৫৫ পদাতিক ডিভিশন জিওসি, এরিয়া কমান্ডার যশোর এবং মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনা এর সভাপতি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল মঙ্গলবার দুপুরে এমসিএসকে’র নবনির্মিত গার্লস ক্যাডেট হোস্টেল ও শিক্ষক আবাসিক ভবন উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে এমসিএসকে’র অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহিদ হোসেন, যশোর ও খুলনার সিনিয়র অফিসারবৃন্দ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, গভর্ণিং বডির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক মন্ডলী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমসিএসকে’র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদনকৃত গার্লস ক্যাডেট হোস্টেল ও শিক্ষক আবাসিক ভবনের কাজ ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩১ জুলাই, ২০২৫ সালে। গার্লস ক্যাডেট হোস্টেলের ৪৮৫ আসনের ৫ তলা বিশিষ্ট ভবনের মোট ব্যয় হয় ২৮ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা। ভবনটিতে আবাসনের পাশাপাশি আধুনিক মানসম্পন্ন ২টি চিত্তবিনোদন কক্ষ, ২টি ডাইনিং হল, ২টি নামাজের কক্ষ এবং ক্যাডেটদের বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ১টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক আবাসিক ভবনের ২৮ ইউনিটের ৮ তলা বিশিষ্ট ভবনের মোট ব্যয় হয় ১৭ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। ভবনটির গ্রাউন্ডফ্লোরে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থার পাশাপাশি ১টি টিচার্স ক্লাব, ১টি লিফট, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১টি ১০০ কেভিএ জেনারেটর বিদ্যমান রয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মিলিটারী কলেজিয়েট স্কুল খুলনা ইংরেজি ভার্সনের একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০২ সালে। প্রায় ১০৫ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি একাডেমিক ফলাফল, শৃংখলা ও সার্বিক বিবেচনায় দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ২৬৫ জন শিক্ষার্থী সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মকর্তা হিসাবে কমিশন লাভ করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ৮৬৭ জন বয়েজ ও গার্লস ক্যাডেট অধ্যয়নরত রয়েছে।