বটিয়াঘাটায় স্বেচ্ছসেবক দলের সভাপতিসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশঃ ২০২৫-১২-১৯ - ২০:৪৩

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : রামপাল তাপ বিদ্যূৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারকে জিম্মি করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি বাপ্পি মল্লিক (২২) এখন পুলিশের খাঁচায়। বাপ্পি বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপিত। তার পিতার নাম মাহফুজুল মল্লিক। পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, রামপাল থানার উজলকুড় ইউনিয়নের সোনাতুনিয়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান (৫০) তাপবিদ্যূৎ কেন্দ্রে ঠিকাদা হিসেবে শ্রমিক দিয়ে কাজ করান। বাপ্পি মল্লিক ও একই জায়গায় স্থানীয় লোক দিয়ে কাজ করাতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাপ্পি ফোন করে ওলিয়ারকে বলেন, কাজের জন্য কিছু লোক প্রয়োজন। তাই দ্রুত ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বটতলায় চলে আসেন। বাপ্পি সরল বিশ্বাসে এলে তাকে নিয়ে লক্ষিখোলা গ্রামে নির্মল কুমার দে এর পুত্র উত্তম দে এর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজনে মিলে ওলিয়ারকে ধরে ধস্তধস্তি করে এবং তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, আংটি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে একটি ঘেরের বাসায় নিয়ে বেধে মুখে টেপ দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। তখন অলিয়ার ৫ লাখ টাকা দিয়ে রাজি হয়। পরে তার মোবাইল ফোনে ভাইপো হাসানকে টাকা নিয়ে এসে ছাড়িয়ে নিতে বলে। হাসান বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে অবগত করেন। সংবাদ পেয়ে ভান্ডারকোট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ঘটনা স্থান থেকে অলিয়ারকে উদ্ধার করেন। এসময় বাপ্পি ও উত্তম দে আটক হয়। বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বচ্ছা সেবক দলের সাবেক সভাপতি ব্রজেন ঢালি বলেন, বাপ্পির বিরুদ্ধে চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, চাঁদা দাবি এবং অপহরণের অভিযোগে ভান্ডারকোট থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপরাধি যেই হোক কোন ছাড় দেয়া হবে না।