ইউনিক আইটি: ভিটামিন সি ধূমপায়ী মায়ের গর্ভের সন্তানের ক্ষতির সম্ভবনা কমায়। ধূমপান ক্ষতিকর। আর গর্ভাবস্থায় ধূমপান শুধু নিজের নয় আগত শিশুকেও বিপদে ফেলে। আবার গর্ভধারণের আগে যে নারী ধূমপান করতেন তার সন্তানও ফুসফুসের জটিলতা নিয়ে জন্মাতে পারে।
তবে ভ‚মিষ্ট হতে যাওয়া সন্তানের উপর নিকোটিনের বাজে প্রভাব কাটাতে পারে ভিটামিন সি। আর এই ফলাফল পাওয়া গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন হেল্থ অ্যান্ড সাইন্স ইউনিভার্সিটির গবেষণায়।
গবেষকদের দাবি, গর্ভবতী ধূমপায়ী নারী নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে জন্মের পর তার সন্তানের ফুসফুসে ক্ষতির আশঙ্কা কমবে।
গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভের সন্তানের তিন মাস বয়স পর্যন্ত মা যদি দৈনিক ৫০০ গ্রাম ভিটামিনি সি’র পাশাপাশি গর্ভকালীন অন্যান্য ভিটামিন নিয়মমতো গ্রহণ করেন তাহলে সন্তানের ‘ফোর্সড এক্সপিরাটরি ফ্লোস (এফইএফ’স)’ উন্নত হয়।
শিশুর ফুসফুস থেকে কত দ্রুত বাতাস বেরিয়ে আসছে তা পরিমাপ করা এবং বাতাস চলাচলে কোনো পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কিনা তা নির্ণয় করা হয় ‘এফইএফ’স-য়ের মাধ্যমে।
এছাড়াও নবজাতকের ‘এফইএফ’স’ এবং কিছু মায়ের থাকা বিশেষ জিনগতৈ বৈশিষ্ট্য যার কারণে শিশুর জন্মের আগেই তার উপর নিকোটিনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্কে খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
গবেষণার প্রধান লেখক এবং যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন হেলথ অ্যান্ড সাইন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সিন্ডি টি. ম্যাকইভয় বলেন, “গর্ভাবস্থায় ধূমপান, আসক্তির সর্বোচ্চ পর্যায় ইঙ্গিত করে যা অস্বাভাবিক প্রভাব রাখে দূর্বল জনগোষ্ঠির ওপর।”
‘আমেরিকান জার্নাল অফ রেসপিরাটরি অ্যান্ড ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত হওয়া গবেষণাটির জন্য ২৫১ জন গর্ভবতী নারীকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এদের মধ্যে ১২৫ জনকে দেওয়া হয়েছে আসল ভিটামিন সি আর বাকি ১২৬ জনকে দেওয়া হয়েছে নকল ভিটামিন সি।
গবেষণার সময়ে সকলকেই ধূমপান ত্যাগ করতে অনুপ্রাণিত করা হয় এবং প্রায় ১০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী ধূমপান ত্যাগ করেন।
গবেষকরা বলেন, “মায়েদের ধূমপান ত্যাগ করানোই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হওয়া চাই। ভিটামিন সি হয়ত গর্ভের শিশুকে কিছুটা রক্ষা করবে, তারপরও ঝুঁকির মাত্রা থেকে যাবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। যার ফলাফল হতে পারে শিশুর স্থূলতা, আচরণগত সমস্যা এবং মারাত্বক স্বাস্থ্য জটিলতা।”