গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : মোবাইল ফোনে পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রেম। এর সূত্র ধরে দেখা করতে ডেকে এনে বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করেছে প্রেমিক। শনিবার রাতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবাশীষ বাড়ৈকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার কিশোরী খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার বিবরনে জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার কোনের ভিটা গ্রামের এক সন্তানের জনক দেবাশীষ রাড়ৈর সঙ্গে প্রায় ১ মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর সাথে। মোবাইল ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার সকাল ১০টায় ওই কিশোরী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে দেবাশীষ তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে গোপালগঞ্জ শহরে আসতে বলে। এরপর গোপালগঞ্জ শহর থেকে তারা কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে পৌছায়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে নিয়ে দেবাশীয় ও তার সহযোগীরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দেবাশীষকে আটক করে।
স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার রাতেই গ্রামবাসী দেবাশীষ বাড়ৈকে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থল থেকে দেবাশীষকে হাতে নাতে আটক করা হয়। তবে তার দুই সহযোগী এ সময় পালিয়ে যায়। কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দেবাশীষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার পর সোমবার সকালে ওই কিশোরীকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।