ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, মানষিক ও শারিরীক চিত্ত বিনোদন ঘটাতে উন্মুক্ত খোলা পরিবেশের নিতান্তই প্রয়োজন রয়েছে। শেখ রাসেল ইকো পার্ক এ অঞ্চলের মানুষের চিত্ত বিনোদনের খোরাক জোগাবে। সুন্দরবন আছে বলেই আমরা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় মানুষ সুরক্ষিত রয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখতে হলে এ অঞ্চলে লবণ সহিষ্ণু বৃক্ষ বেশি করে লাগাতে হবে। মনে রাখতে হবে মানুষ অন্নের সংস্থান করতে না পেরে অন্যত্র স্থান পরিবর্তন করে। পশু-পাখিও ঠিক তাই। তারা পর্যাপ্ত গাছ-পালা না থাকায় বাসস্থানের অভাবে অন্যত্র স্থান পরিবর্তন করছে। প্রকৃতিকে ধরে রাখতে হলে পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের নৈতিক কর্তব্যগুলি জাগিয়ে তুলতে সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বুধবার বিকাল ৫ টায় বটিয়াঘাটার মাথাভাঙ্গা শেখ রাসেল ইকোপার্কে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রীনবেল্ট চলমান বৃক্ষরোপন কার্যক্রমে বৃক্ষরোপন কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সভাপতি সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সারোয়ার আহম্মেদ সালেহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ জিয়াউর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ দেলোয়ার হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুলি বিশ্বাস, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কোহিনুর জাহান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়সাল আহম্মেদ, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জাকির হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আঃ কাদের উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ,সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার,কোষাধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক পরিতোষ রায়,সাংবাদিক ইমরান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ইমু, কানুনগো মোঃ মাহমুদুল আলম, সার্ভেয়ার কাওছার আহম্মেদ সহ ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। উপমন্ত্রী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ সময় পার্কে ২টি ফলজ বৃক্ষ রোপন করেন।