ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঘটনাটা ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজ পুর ইউনিয়নের কয়ারগাছি গ্রামের আবাসন প্রকল্পে। জানা গেছে, কয়ারগাছি গ্রামের আলী আকবারের ছেলে হারুন (৪২) তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় অবস্থান করছিল। গত রবিবার সন্ধ্যায় জিল্লুর নেতৃত্বে কয়ারগাছি গ্রামের শমসের, তুহিন, সাগর, সাগর ওরফে কালু, ইউনুছ, বিল্পব সহ প্রায় ৮/৯ জনের একটি দল জোর করে হারুনের ঘরে প্রবেশ করে হারুনকে করে মারধর করতে থাকে। এসময় তাঁর স্ত্রী বাঁধা দিতে আসলে সাগর ওরফে কালু এবং ইউনুচ সাগরের সহযোগিতা তাকে জোর পুবক স্বামীর সামনেই ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তদের মধ্যে হতে করে। হাসপাতালে আহত হারুন জানায়, আমার প্রথম স্ত্রীর সাথে পারিবারিক ভুল বুঝাবুঝির কারনে আমার প্রথম স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে যায়। বেশ কয়েক মাস কোন খোঁজ খবর না থাকার পর প্রায় ৩ মাস হল আমি আরেকটি বিবাহ করি।
কয়েক দিন হয়ে গেলে আমার প্রথম স্ত্রী বাড়িতে ফিরে এলে এলাকার কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির মানুষ আমার নিকট ১০ হাজার টাকা দাবী করে। আমি এই টাকা না দিতে পারার কারনে তারা রাতে আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে আমাকে মারধর ও আমার স্ত্রী কে ধর্ষণ করে। তারপর আমারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যাতে থানায় মামলা না করি সেই ব্যাপারে হুমকি দিচ্ছে। মামলা করলে আমাদের জানে মেরে ফেলবে। এই কারনে আমারা মামলা করতে থানায় যায়নি। হাসপাতালে আহত হারুনের স্ত্রী জানায় দুর্বৃত্তরা আমার স্বামীকে প্রচন্ড মারধর করছিল এসময়ে আমি বাঁধা দিতে গেলে সাগর ওরফে কালু ও ইউনুচ আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সাগর ওরফে কালু আমাকে ধর্ষণ করে।সে সময় পুলিশ আসছে বলে চিৎকার করলে সকলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। যার কারনে ইউনুস আমাকে ধর্ষণ করতে পারেনি। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, উক্ত ঘটনা কে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে।