ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর ওপর অত্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের মৃত মীর নুর ইসলামের কন্যা মোসাঃ নাজমা বেগমের (৩৩) সাথে চুকনগর বাজারস্থ শওকত আলী বিশ্বাসের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের (৩৮) প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের পরেই স্বামী রুহুল কুদ্দুস বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা ও বিদেশ যাওয়ার কথা বলে মোট সাত লাখ টাকা নেয় । তাদের দাম্পত্য জীবনে তামিম বিশ্বাস (১৩) নামের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। এরই মধ্যে স্বামী রুহুল কুদ্দুস বিদেশে যায়। আর সেখানে গিয়েই ফেসবুকের মাধ্যমে মোসাঃ ফতেমা বেগম (৩৫) নামের এক মহিলার সাথে তার গড়ে ওঠে প্রেমজ সম্পর্ক। সেই থেকে স্ত্রী নাজমা ও পুত্র তামিমের ভোরণ-পোষণ না দিয়ে নানাভাবে চালাতে থাকে অত্যাচার ও নির্যাতন। এক পর্যায়ে নাজমা তার সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে অবস্থান করে। এরই মধ্যে রুহুল কুদ্দুস বিদেশ থেকে ফিরে প্রেমিকা ফতেমার সাথে বিবাহ করে সংসার জীবন শুরু করে।
এ বিষয়ে স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, বিয়ের পরে আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। তবে সে ব্যবসাসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে আমার কাছে টাকা চাইতো। আমিও সুখের কথা চিন্তা করে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে তার হাতে তুলে দিতাম। তার বিদেশে যাওয়ার সময়ও আমি টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে বিদেশে গিয়ে আমার ও ছেলের কথা ভুলে এক মহিলার সাথে প্রেমজ সম্পকে জড়িয়ে পড়ে। তারপর শুরু করে আমাদের সাথে খারাপ আচারণ। বন্ধ করে আমাদের ভোরণ-পোষণের টাকা পাঠানো। আস্তে আস্তে ফোনে কথা বলাও বন্ধ করে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। আর তখন আমি ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাই। বছর দুয়েক আগে জানতে পারি সে দেশে এসেছে এবং তার সেই প্রেমিকাকে বিয়ে করে নতুন সংসার করছে। খবর পেয়ে আমি এসে বিয়ের কারণ ও সংসার করতে চাইলে আমার ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে। বর্তমানে সে আমাকে বাড়িতে উঠতে দিচ্চে না আর আমার পাওনা টাকাও ফেরত দিচ্চে না।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কাজ চলছে এবং তদন্ত শেষেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।