আজগর হোসেন ছাব্বির : ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ঝালবুনিয়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়। উপজেলায় সব মিলিয়ে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন দাবী করেছেন।
শুক্রবার দুপুরের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিন্টু বিশ^াস ঝড়ের প্রভাবে প্লাবিত হওয়া তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বেড়ীবাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ ঝালবুনিয়া এলাকা ঘুরে ঘুরে বাঁধের সর্বশেষ অবস্থা দেখেন। এ সময় তিনি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার ও অন্যান্য ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন। এ সময় তার সাথে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মর্তূজা খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে ঝড়ের প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া জ¦লোচ্ছাসের কারনে প্লাবিত হয়ে দাকোপে ২০০ হেক্টর মৎস্য ঘের, ৩৪ কিঃ মিঃ চলাচলের রাস্তা, ২৪ কিঃ মিঃ বেড়ীবাঁধ, ১৫ টি মসজিদ, ৫টি মন্দির, ২৮২৮ টি ঘরবাড়ী কমবেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টাকার অংকে যা ১১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে উপজেলা প্রশাসন দাবী করেছেন। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে সুতারখালী, বানীশান্তা এবং তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন সব থেকে বেশী ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ ছাড়া চালনা পৌরসভাসহ অন্যান্য এলাকা উপচে পড়া পানিতে কমবেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
 
					 
                             
                             
                             
                             
                            