ইউনিক প্রতিবেদকঃ
খুলনার দাকোপে ভূমি অধিগ্রহন না করেই ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করছে প্রশাসন। উপজেলার কালা বগিতে ফিস এন্ড কেজ লিমিটেড কোম্পানির মৎস্য খামারে এ ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে দাকোপ উপজেলা প্রশাসন। ফিস এন্ড কেজ লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান আবু মোঃ মুসা বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না । রবিবার তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের এ অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিকারের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘চিংড়ি চাষের জন্য ১৯৯১ সালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার চৌকুনি মৌজায় ৩৩ একর জমি খরিদ করে ১২ লাখ টাকা ইকিউটি জমা দিয়ে ৪৭ লাখ টাকা প্রকল্পের ঋণ অনুমোদন হলে ব্যাংক হতে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে মাটির কাজ আরম্ভ হলে চৌকুনি নদীর বাঁধের কারনে পানির সমস্যা হওয়ার আশংকায় উক্ত কোম্পানী বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের অনুমোদন পুর্বক ২৬.৭৬ শতক জমি ক্রয় করা হয়। আমাদের কোম্পানির নামে খাজনা প্রদান করে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের পর কোম্পানীর দ্বিতীয়স্থল কালাবগিতে ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে লে-আউট প্লান মোতাবেক প্রায় ৬০ লাখ টাকা খরচ করি যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের (আইলা ঝড়) কারণে অত্র এলাকা প্রায় দুইবছর পানিতে ডুবে থাকে এবং প্রকল্পের সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিআরএস জরিপকালে ভুলের কারনে কোম্পানীর নামে রেকর্ড না হয়ে পুর্বের মালিক বা অন্যান্যদের নামে রেকর্ড হলে উক্ত রেকর্ড ভুল সংশোধনের জন্য ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল খুলনাতে ল্যান্ড কেস করি। সরকার পক্ষ জবাব না দেয়ার কারনে বারংবার জবাবের জন্য দিন ধার্য্য হচ্ছে।
ইতমধ্যে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) জমিতে পরিদর্শনকালে আমাকে বলেন, উক্ত জমি সরকারি সম্পত্তি। এখানে বালু ভরাট করে গুচ্ছ গ্রাম হবে। আপনার কাগজপত্র থাকলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দাকোপ অফিসে যাবেন। আমি গত ১৯ জানুয়ারি ভূমি অফিসারের দপ্তরে যাই, বিস্তারিত জানাই এবং কাগজপত্র দেখাই। কিন্তু তাতে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বলেন আপনি অন্যায়ভাবে জালজালিয়াতি পুর্বক জমি দখল করেছেন। সরকারি কাজে বাধা দিলে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের মামলা দেয়া হবে। ওইদিন দাকোপ থানায় আমার নামে মিথ্যা একটি জিডি করেন এবং আমার দলিল পত্রের ফটোকপি রাখেন। যেহেতু বিআরএস জরিপে ভুল সংশোধরে জন্য ল্যান্ড ট্রাইব্যুনাল কেস ও খুলনার বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ৪র্থ আদালতে মামলায় নিষেধাজ্ঞার জন্য শোকজ নোটিশ হয়েছে এবং উক্ত সম্পত্তিতে মামলা নিষ্পত্তির পূর্বেই সরকারী অর্থ ব্যয় হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি ন্যায় বিচারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সার্বিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করেন এবং সম্পত্তি রক্ষার্থে সুষ্ঠু আইনের আশ্রয় কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।