দাকোপে সমন্বিত আধুনিক পদ্ধতিতে অসময়ে ফসল উৎপাদনে সফলতা

প্রকাশঃ ২০১৯-১০-২৮ - ২০:৪২

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : দেশের উপকুলীয় লবনাক্ত অঞ্চলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যম অসময়ে ধান মাছ তরমুজ এবং বিভিন্ন সব্জি উৎপাদনের এই সফলতা চাষিদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ধারনের চাষাবাদের সুফল সম্পর্কে চাষিরা অবহিত হলে সমগ্র লবনাক্ত উপকুলীয় অঞ্চলকে উৎপাদনের আওতায় আনা সম্ভব। চাষিদের অর্থনৈতিক সফলতা এবং দেশের খাদ্যের চাহিদা মিটাতে সফল এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে চাষিদের উদ্বুর্দ্ধ করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সিএসআইআরও অষ্ট্রেলিয়ার আর্থিক সহযোগীতায় বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনিষ্টিটিউট ব্রি’র সার্বিক তত্ববধানে উপকুলীয় লবনাক্ত অঞ্চল খুলনা জেলার দাকোপের পানখালী গ্রামে অসময়ে ধান মাছ তরমুজসহ একই সাথে বিভিন্ন সব্জি চাষের প্রদর্শনী প্রকল্প গ্রহন করা হয়। সোমবার সফল ওই প্রকল্প পরিদর্শন এবং লবনাক্ত এলাকায় ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করনের লক্ষ্যে আয়োজিত চাষিদের মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রজেক্ট লিডার সিএসআইআরও অষ্ট্রেলিয়া ড.মোঃ মাইনউদ্দিন উপরোক্ত কথা বলেন। ব্রি গাজিপুরের প্রধান গবেষক ড.মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ব্রি’র গবেষক জাহাঙ্গির কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের, সফল চাষি অখিল হালদার, প্রকল্পের মাঠ কর্মি শরিফুল গাজী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ব্রি’র সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বেলাল হোসেন। উপকুলীয় দাকোপ অঞ্চলে পরীক্ষা মূলকভাবে স্থানীয় চাষি অখিল হালদার তার জলবদ্ধ ৫ বিঘা জমিতে ধানের সাথে মাছ, মাচাই পদ্ধতি তরমুজ এবং বস্তা পদ্ধতি ব্যবহারে বিভিন্ন প্রজাতির সব্জি চাষ করে। এ অ্ঞ্চলে নতুন এই সমন্বিত পদ্ধতির চাষাবাদের সফলতা প্রসঙ্গে চাষি অখিল হালদার বলেন, নতুন পদ্ধতির চাষাবাদে কেউ যখন সাহস দেখাচ্ছিলনা তখন আমি বলতে পারেন অনেকটা ঝুকি নিয়ে ৫ বিঘা জমিতে ৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগে চাষাবাদ করি। বর্তমানে তিনি সমন্বিত ওই উৎপাদন থেকে লক্ষাধীক টাকা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী। তার এই সফলতা দেখে অন্যান্য চাষিরা এই পদ্ধতির চাষাবাদে উৎসাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার ভাষ্য মতে বর্তমানে চাষিদের মাঝে এই পদ্ধতি বেশ সাড়া পড়েছে। আগামীতে দাকোপের অন্যান্য এলাকা এই চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে তিনি আশা করছেন। উল্লেখ্য উপকুলীয় এক ফসলী জমির ফলনে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখন আধুনিক সমন্বিত পদ্ধতির এই চাষাবাদ এ অঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।