তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা)// খুলনার ফুলতলায় ধর্ষণের পর যুবতী মুসলিমা খাতুনকে গলা কেটে হত্যায় জড়িত মূল আসামি রিয়াজ খন্দকার (৩২) ও সোহেল সরদার (২৫)এর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহনের জন্য রোববার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে ধষর্ণের সহযোগিতার অভিযোগে পুলিশ মুনসুর খাঁ (৮০) এবং ইউসুফ আলী (৬৩)কে জেলহাজতে পাঠানো হয়। ভিকটিম মুসলিমার মাথার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শেষে দাফন এবং তার মোবাইল ফোন, কানের দুল ও চেইন উদ্ধার হয়েছে।
ফুলতলা থানায় যুবতীকে ধর্ষণ, পাশবিক নির্যাতন ও গলা কেটে হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, মুল আসামি যুগ্নিপাশা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ খন্দকারের পুত্র রিয়াজ খন্দকার ও শিলন সরদারের পুত্র সোহেল সরদার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সকল ঘটনা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে শনিবার সকালে মুসলিমার খন্ডিত মস্তক পরিধেয় কাপড়, স্যান্ডেল, হত্যায় ব্যবহৃত বটি উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে রিয়াজের বাড়ির পুকুর থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন এবং সোহেল সরদারের বাড়ির কবুতরের ঘর থেকে কাঁনের দুল ও চেইন ( ইমিটেশনের) উদ্ধার হয়। এছাড়া মুসলিমাকে তার বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার জন্য রিয়াজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়। আসামীদ্বয় স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় রোববার বিকালে তাদেরকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ’ছ’ অঞ্চল নয়ন বিশ^াস এর খাস কামরায় নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে পুলিশ যুগ্নিপাশা গ্রামের মৃত হাতেম শেখের পুত্র মুনসুর শেখ এবং ইয়াকুব মোল্যার পুত্র ইয়াসুফ আলীকে রোববার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নজরুল খাঁর নির্মানাধীন বাড়ির বালির মধ্য থেকে মুসলিমার কর্তনকৃত মাথা উদ্ধার করে শনিবার মর্গে প্রেরণ করা হয়। ডিএনএ এর জন্য নমুনা সংগ্রহ শেষে মাথা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে উপজেলা সরকারি গোরস্থানে সেটি দাফন হয়।
প্রসংগত গত ২৬ জানুয়ারি সকালে ফুলতলার উত্তরডিহি এলাকায় ধান খেত থেকে মুসলিমা মস্তকবিহীন বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের ময়না তদন্ত শেষে ২৭ জানুয়রি মস্তকবিহীন দাফন সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে মুসলিমা মেঝ বোন আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৫/৬জনকে আসামি করে থানায় মামলা হলে পুলিশ ও র্যাব অভিযান রিয়াজ ও সোহেল আটক হয়।